Mbdjobs is a Bengali educational website for Students,bd jobs seeker.best jobs preparation website.

০৫/১০/২০২১

ধ্বনি ও বর্ণ অধ্যায়-বাংলা ব্যাকরণ

ধ্বনি ও বর্ণ

ভাষার ক্ষুদ্রতম একক হলো ধ্বনি।আর ধ্বনির চিহ্ন বা প্রতীক হলো বর্ণ।


ধ্বনি ও বর্ণ অধ্যায়-বাংলা ব্যাকরণ


ধ্বনি ও ধ্বনির পরিবর্তন 

ভাষার ক্ষুদ্রতম  একক ধ্বনি।অক্ষর উচ্চারণের কাল পরিমানকে ধ্বনি বলে।ভাষার মূল উপাদান,ক্ষুদ্রতম একক, ধ্বনি। বাংলা ভাষায় ব্যবহ্নত ধ্বনির সংখ্যা ৪১ টি।

ধ্বনি দুই প্রকার যেমনঃ-

ক. স্বরধ্বনি খ. ব্যঞ্জনধ্বনি

ক. স্বরধ্বনি:

১.স্বরধ্বনি কয়টি? 

স্বরধ্বনি ১১ টি।

২. মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি? 

মৌলিক স্বরধ্বনি ৭ টি।

৩. বাংলা যৌগিক স্বরধ্বনি কয়টি?

উত্তরঃ ২ টি।

৪. যৌগিক স্বরধ্বনি কোনগুলো?

উত্তরঃ ঐ,ঔ

৫. তাড়নজাত ধ্বনি কোনগুলো?

উত্তরঃ ড়,ঢ়

৬. কোনগুলো পরাশ্রয়ী ধ্বনি?

উত্তরঃ  ং ঃ   ঁ

৭. কম্পনজাত ধ্বনি কোনটি?

উত্তরঃ ল

৮. ক-বর্গীয় ধ্বনির উচ্চারণ স্থান কোনটি?

উত্তরঃ জিহ্বামূল।

৯. ত-বর্গীয় ধ্বনি উচ্চারণ স্থান অগ্র  দন্তমূল্য

১০. ম-বর্গীয় ধ্বনি উচ্চারণ স্থান ওষ্ঠ্য।

১১. ঙ- ধ্বনির সঠিক উচ্চারণ  কোনটি 

উত্তরঃ উয়ো 

১২. চ একটি অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি।

১৩. ড-ঘোষ অল্পপ্রাণ 

১৪. বাংলায় নাসিক্য ধ্বনি পাঁচটি( ঙ,ঞ,ণ,ন,ম)


বর্ণ

১. বর্ণ কাকে বলে?

ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক বা চিহ্নকে বর্ণ বলে।

২. বাংলা ভাষায় বর্ণের সংখ্যা কয়টি?

বাংলায় বর্ণের সংখ্যা ৫০ টি।স্বরবর্ণ ১১ টি ও ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯ টি।ব্যঞ্জনবর্ণকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রুপকে কার এবং ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রুপকে ফলা বলে।

৩. মাত্রার উপর ভিত্তি করে বর্ণাক  তিনভগে ভাগ করা হয়েছে।

যেমনঃ- 

ক. মাত্রাহীন বর্ণ-১০ টি।

খ. পূর্ণমাত্রার বর্ণ-৩২ টি।

গ. অর্ধমাত্রার বর্ণ-৮ টি।


৪. পরাশ্রয়ী বর্ণ কয়টি?

তিনটি(   ঃ ং    ঁ ) 


উপরের প্রশ্নগুলো বিগত সালের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এসেছে সাধারণত ধ্বনি ও বর্ণ থেকে উপরিউক্ত প্রশ্নগুলো থেকে কমন পড়ে।


 বিপিএসসি (BPSC Non cadre) নন-ক্যাডার লিখিত নিয়োগ পরিক্ষার সাজেশন 


ধ্বনির পরিবর্তন কাকে বলে উদাহরণসহ লিখ।


উচ্চারণের সময় সহজীকরণের জন্য শব্দের মূল ধ্বনির যেসব পরিবর্তন ঘটে তাকে ধ্বনির পরিবর্তন বলে।

স্বরাগম কি?



স্বরাগম আবার তিন প্রকার

আদি স্বরাগম: স্টিমার>ই+স্টিমার

মধ্য স্বরাগম: মধ্য স্বরাগমের সমার্থক শব্দ বিপ্রকর্ষ।

রত্ন> রতন, ধর্ম>ধরম, গ্রাম-গেরাম, স্নান>সিনান

অন্ত্য স্বরাগম: পোকত+ও, দিশ্+আ


অপিনিহিত কাকে বলে?

 যদি কোন শব্দের স্বরধ্বনি যথাস্থানে উচ্চারিত না হয়ে পূর্বে উচ্চারিত হয় তখন তাকে অপিনিহিত বলে।

ই- কারের অপিনিহিত স্বরধ্বনি :

করিয়া= ক+অ+র+ই+য়+আ

করিয়া>কইরয়া, আলপনা>আইলপনা, রাতি >রাত,রাখিয়া>রাইখ্যা

উপকারের অপিনিহিত স্বরধ্বনি 

আশু>আউশ,  মাছুয়া>মাউছুয়া, হাটুয়া>হাটুয়া

অপিনিহিত শব্দের স্বরধ্বনিগুলো যদি পরিবর্তিত হয়ে নতুন শব্দে রুপ নেয় তাকে অভিশ্রুত বলে।

রাখিয়া>রাইখ্যা>রাখে


বিষমীভবন কাকে বলে?

পদ মধ্যস্থিত দুটি সমবর্ণের একটি পরিবর্তন হলে তাকে বিষমীভবন বলা হয়।

যেমন: শরীর>শরীল, লাল>নাল


ধ্বনি বিপর্যয় কাকে বলে

শব্দের মধ্যকার দুটি ব্যঞ্জনবর্ণের পরস্পরের মধ্যে যদি স্থান পরিবর্তন ঘটে তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলে।যেমন: জালানা>জানালা, পিশাচ>পিচাশ,রিকসা>রিসকা, লাফ>ফাল

অসমীকরণ কাকে বলে

 এক স্তরের পুনরাবৃত্তি দূর করার জন্য মাঝখানে যে স্বরধ্বনি যুক্ত করা হয় তাকে অসমীকরণ বলে।

যেমন: টপ+টপ= টপাটপ, ধপ+ধপ=ধপাধপ


বিপ্রকর্ষ কাকে বলে

সংযুক্ত ধ্বনির কঠিন উচ্চারণকে সহজ করে পড়তে একে ভেঙে উচ্চারণ করাকে স্বরভক্তি বা বিপ্রকর্ষ বলে।


সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ কাকে বলে?

 দ্রুত উচ্চারণের জন্য কোন স্বরধ্বনি লোপকে সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপ বলে।যেমন

রাধুনা>রান্না


স্বরসঙ্গতি কাকে বলে

 এক স্বরের প্রভাবে অন্য স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে।যেমন, বুড়া>বুড়ো, রাত্রি>রাইত, বিলাতি>বিলিতি,দেশি>দিশি।


সমীভবন কাকে বলে?

শব্দ মধ্যস্থিত দুটি ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্প-বিস্তর সমতা লাভ করে ধ্বনি পরিবর্তনের এই রীতিকে বলা হয় সমীভবন।যেমন কান্না>কাঁদনা, লগ্ন>লগন, মিথ্যা>মিছা

শব্দের মধ্যে কোন ব্যঞ্জনধ্বনির পরিবর্তন হয়ে যদি অন্য একটি ব্যঞ্জনধ্বনির ব্যবহার হয়।যেমন, ধোবা>ধোপা, 


বর্ণলোপ কাকে বলে?

যেমন ফলাহার থেকে ফলার

বা প্রতিক্ষার সঠিক উচ্চারণ প্রোতিকথা

আরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর 

গামছা শব্দে মধ্যস্বরলোপ ঘটেছে। গো মোছা> গামছা

Phoneme শব্দের অর্থ ধ্বনিমূল।

Apenthesis শব্দের অর্থ অপিনিহিতি।