Mbdjobs is a Bengali educational website for Students,bd jobs seeker.best jobs preparation website.

১৯/১০/২০২১

এক কথায় প্রকাশ বা বাক্য সংকোচন

 এক কথায় প্রকাশ 

আমরা জানি সরকারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য এক কথায় প্রকাশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।বিগত সালের বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় আসা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাক্য সংকোচন বা এক কথায় প্রকাশ দেয়া হলো
এক কথায় প্রকাশ কি? এক কথায় প্রকাশ বা বাক্য সংকোচন হলো মনের ভাবকে একটি মাত্র শব্দে প্রকাশ করা। 


বাক্য সংকোচন 

কর্মে যাহার ক্লান্তি নেই-  অক্লান্ত কর্মী 
ধনুকের ধ্বনি - টঙ্কার

খেয়া পার করে যে -পাটনী
পা ধোয়ার জল -পাদ্য
সাপের খোলস -নির্মোক
যা অনায়াসে লাভ করা যায়-অনায়াসলভ্য
হরিণের চর্ম - অঞ্জিন
দগ্ধ হইতেছে এমন -দাহ্যমান
কর যে দেয় যে- করদ 
সরোবরে জন্মায় যা -সরোজ 
অনুকরণ করার ইচ্ছা-অনুচিকির্ষা
অসম সাহস যার-অসামসাহসিক 
অধ্যায়ন করা হয়েছে যাহা-অধীত
অমৃতের মত কাজ করে যা-অমৃতায়ন 
অপরের দোষ খুঁজে বেড়ায় যে- ছিদ্রান্বেষী
আচরণের যোগ্য-আচরণীয় 
অনেক কিছু দেখেছে যে-বহুদর্শী
আনন্দ প্রদান করে যে-আনন্দপ্রদ
আরাধনা করার যোগ্য-আরাধ্য 
ইহার তুল্য-ঈদৃশ
উদরই সর্বস্ব যার - উদরসর্বস্ব 
কামনা দূর হয়েছে যার -বিতকাম
গ্রামে প্রস্তুত -গ্রাম্য 
গ্রীবা যার সুন্দর -সুহীব
চাঁদের মত -চাঁদপনা
চলার শক্তি-চলচ্ছক্তি
জটা আছে যার-জটিল  
ঠকাতে অভ্যস্ত যে-ঠগ 
তুলার তৈরি -তুলট 
ত্বরাই গমন করে যে -তুরগ
দেখার ইচ্ছা-দিদৃক্ষা
দেহ সম্বন্ধীয় যা -দৈহিক
নিন্দা করতে ইচ্ছুক -জুগুপ্সু
ধন নেই যার- নির্ধন 
ধ্যানের যোগ্য -ধেয়
নিজেকে যে বড় মনে করে-হামবড়া
ন্যায় ভালো জানেন যিনি - নৈয়ায়িক
পর্বতের কন্যা-পার্বতী 
নিতান্ত দগ্ধ হয় যে সময়ে- নিদাঘ

আয়নায় প্রতিফলিত রুপ- প্রতিবিম্ব
পা দারা দান করে যে পাদন
প্রমাণ করা যায় না যা-অপ্রমেয়
প্রবেশ করার ইচ্ছা - বিবিক্ষা 
প্রেম করার ইচ্ছা-প্রেমীরা 
ফুলের তৈরি-ফুলেল
ফুলের আঁধার-ফুলদানি 
ফুলের মালা গলায় পড়ে প্রাণ বধ করে যে- ফাঁসুড়ে
বিবাদ করছে যারা-বিবাদমান 
বলার ইচ্ছা - বীবক্ষা
ভদ্রলোক যে রকম ব্যবহার করেন-ভদ্রোচিত
ভালো বোঝা যায় না যা -দুর্বোধ
মন হরণ করে যা -মনোহরী 
হতে পারে -সম্ভব 

যে সকল বিষয়ে স্পৃহা হারিয়েছে -বীতস্পৃহা
যিনি বিদ্যা লাভ করেছেন -কৃতবিদ্যা
যা পরিমাপ করা যায় না-অপরিমেয় 
যার অনুরাগ দূর হয়েছে-বীতরাগ
যার কিছু নেই-অকিঞ্চন 
যার বসন আলগা -অসংকৃত
যে নারীর স্বামী আছে-সধবা 
রস আছে যার-রসিক 
রাতের প্রথম ভাগ-পর্ব রাত্রি 
সুন্দর দাঁতে যে রমনীর- সুদন্তী
স্ত্রীর বশীভূত যিনি- স্ত্রৈণ

হার্ট করে যে -হাটুরে 
দেখিবার ইচ্ছা -দিদুক্ষা

মুক্তি লাভের ইচ্ছা -মুমূক্ষু
নৌ চলাচলের যোগ- নাব্য 
যিনি পথ দেখান-পথিকৃৎ
অক্ষির সম্মুখে-সমক্ষ ( ১৭ তম ২৪ তম  বিসিএস) 
অনুকরণ করার ইচ্ছা - অনুচিকীর্ষা (সহকারী আবহাওয়াবিদ ৭)
আলমাসে মাতৃগর্ভে থেকে যে সন্তান  ভূমিষ্ট হয়- আটাশে।

আকাশে চরে যে -খেচর (২৪ তম শিক্ষক নিবন্ধন) 
আকাশে গমন করে যা - বিহগ
আবক্ষ জলে নেমে স্নান- অবগাহন (১২ তম শিক্ষক নিবন্ধন) 
আপনাকে পন্ডিত  মনে করে যে- পন্ডিতম্মন্য (১১ তম শিক্ষক নিবন্ধন) 
অন্বেষণের ইচ্ছা - অনুসন্ধিৎসা 

অক্ষির সম্মুখে বর্তমান - প্রত্যক্ষ
অপকার করার ইচ্ছা - অপচিকীর্ষা 
অকালে যাকে জাগরণ করা হয়- অকালবোধন ( সহকারী শিক্ষক পরিক্ষা) 
মেঘের ধ্বনি - জীমূত মন্ত্র (১৬ তম শিক্ষক নিবন্ধন স্কুল-২)
অলঙ্কারের ধ্বনি- শিঞ্জন 

অগ্র- পশ্চাৎ বিবেচনা করে যে কাজ করে না- অবিমৃষ্যকারী  (পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা) 
আশি বছরের বেশি বয়স্ক যে- অশীতিপর। 
যে ভবিষ্যতে না ভেবে কাজ কর- অবিমৃষ্যকারী 
যে রমণীর স্বামী বিদেশ থাকে- প্রোষিতভর্তৃকা 
যে বন হিংস্র জন্তুতে ভরপুর- শ্বাপদসংকুল 

যে ব্যক্তি পূর্বজন্মের কথা স্বরণ করতে পারে-জাতিস্বর
যে সকল অত্যাচার সহ্য করতে পারে -সর্বংসহা
যে নারী পূর্বে অপরের বাগদত্তা ছিল- অন্যপূর্বা
যে ব্যাক্তি এক ঘর থেকে অন্য ঘর ভিক্ষা করে বেড়ায়-মাধুকর
যে লেখক অন্যের ভাব ভাষা চুরি করে- কুম্ভীলক
যে নারীর মুখ সূর্যও দেখত পায় না-ও সূর্য স্পর্শতা
যে বহু বিষয়ে জানে -বহুদর্শী 
যে বেশি কথা বলে-বাচাল
যে নারীর স্বামী ও পুত্র নেই তাকে বলে-অবীরা
যে লাফিয়ে চলে- প্লবগ



যে ব্যক্তি বিদেশে থাকে- প্রবাসী 
যে ব্যক্তি জীবিত থেকেও মৃত- জীবন্মৃত
যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে -উদ্বাস্তু 
যে গাছ কোন কাজে লাগে না- আগাছা
যে নারীর হাসি সুন্দর - শুচিস্মিতা
যে পুরুষ  দ্বিতীয় বিয়ে করেছে - দোজবর
যে যিনি ভালো ব্যকরণ জানেন- বৈয়াকরণ
যিনি বক্তৃতা দানে পটু- বাগ্মী
যিনি কম কথা বলেন - মিতভাষী 
যিনি স্মৃতি শাস্ত্র জানেন- স্মার্ত
যিনি শোনামাত্র স্বরণ করতে পারেন - শ্রুতিধর 


রাত্রির শেষ ভাগ- পররাত্র
লাভ করার ইচ্ছা - লিপ্সা 
শোনা যায় এমন- শ্রুতিগ্রাহ্য 
শত্রুকে দমন করে যে অরিন্দম 
শুভক্ষণে জন্ম যার ক্ষণজন্মা 
সজ্ঞানে অন্যায় করে যে- জ্ঞানপাপী
সাপের খোলস- নির্মোক
সকলের দ্বারা অনুষ্ঠিত -সর্বজনীন 
সেতারের ঝঙ্কার -  কিঙ্কন
সিংহের ডাক- নাদ বা হুংকার 
 

স্থায়ী ঠিকানা নেই যার -উদ্বাস্তু 
সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা- প্রত্যদগমন
সম্পূর্ণ বিবেচনা করা হয় নি এমন-অসমীক্ষিত
হনন করার ইচ্ছা জিঘাংসা
হাতির বাসস্থান -পিলখানা
হিমালয় হতে সমুদ্র পর্যন্ত -আসমুদ্রহিমাচল 
হাতির ডাক বৃংহিত
হরিণের চামড়া-অজিন

রাজহাঁসের ডাক-ক্রেকার
বিনা যত্নে উৎপন্ন হয় যা-অযত্নসম্ভূত
নিন্দা করার ইচ্ছা - জুগুপ্সা 
কোকিল পাখিকে বলা হয় অন্যপুষ্টা
দ্বারে থাকে যে দৌব্যরিক
দেখবার  ইচ্ছা -দিদৃক্ষা 
দিবসের শেষ ভাগ- অপরাহ্ণ 

দুই পর্বতের মধ্যকার সমতল ভূমি-উপত্যকা
দুবার জন্মেছে যে দ্বিজ
দর্শন করা হয়েছে এমন-প্রেক্ষিত
নিজের দ্বারা অর্জিত- স্বোপার্জিত 
নষ্ট হওয়া স্বভাব যার-নশ্বর
নীর দান করে যে-নীরদ
নুপুরের ধ্বনি-নিক্কন
নষ্ট হওয়া স্বভাব নয় যার-অবিনশ্বর


পরকে প্রতিপালন করে যে প্রভূত
পূর্বে ছিল এখন নেই ভূতপূর্ব
পূর্বে যা দেখা যায় নি-অভূত পূর্ব 
পা ধুইবার জল-পাদ্য
পাখির ডাক- কূজন
পঙ্কে জন্মে যা-পঙ্কজ
পানের অযোগ্য অপেয়
যা বর্ণনা করা যা না যা - অবর্ণনীয় 
কথায় বর্ণনা করা যা না যা - বর্ণনাতীত

ফুলতোলা মসলিন শাড়ি -জামদানী 
ফিটফাট গোছের তরুণ- ফটিক চাঁদ
বেঁচে থাকার ইচ্ছা -জিজীবিষা 
বংশ পরিচয়, স্বভাব চরিত্র জানা নেই যার- অজ্ঞাতকুলশীল


বাঘের ডাক-গর্জন
বাঘের চামড়া- কৃত্তি
বাহুতে ভর করে চলে যে -ভুজঙ্গ 
বিশ্বজনের হিতকর- বিশ্বজনীন
বীরসন্তান প্রসব করে যে নারী- বীরপ্রসূ 
বীণার ঝঙ্কার- নিক্কণ
ভোজন করার ইচ্ছা - বুভুক্ষা
মৃতের মত অবস্থা যার- মুমূর্ষু 
মুক্তি পেতে ইচ্ছুক-মুমুক্ষু
ময়ুরের ডাক-কেকা


মৃত্তিকা দিয়ে তৈরি- মৃন্ময়
যা বলা হবে বক্তব্য 
যা আঘাত পায় নি- অনাহত
যা নষ্ট হয় নশ্বর
যা সহজে অতিক্রম করা যায় না- দূরতীক্রম্য
যা ভবিষ্যতে ঘটবে- ভবিতব্য 
যা নিন্দার যোগ্য নয়- অনিন্দ্য 
যা বলা উচিত নয়-অকথ্য
 যা চেটে খেতে হয়-লেহ্য
যা অনায়াসে লাভ করা যায়-সহজলভ্য
যা কষ্টে লাভ করা যায়- দুর্লভ


যা বলা হয়েছে  উক্ত
যা বোপন করা হয়েছে উপ্ত
যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না - অনন্য সাধারণ
যা কোথায় উঁচু কোথাও নিচু - বন্ধুর 
যা বলা হয়নি অনুক্ত 
যা দমন করা যায় না- অদম্য 
যা দীপ্তি পাচ্ছে দেদীপ্যমান 
যা অবশ্যই ঘটবে অবশ্যম্ভাবী
যা পূর্বে শোনা যায় নি - অশ্রুতপূর্ব 
যা কষ্টে জয় করা যায়- দুর্জয় 
যা অধ্যয়ন করা হয়েছে - অধীত
যা মাটি ভেদ করে উঠে - উদ্ভিদ 
যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না- অনির্বচনীয় 



যা চুষে খাওয়া যায় চুষ্য
 যা সহজে অতিক্রম করা যায় না - দুরতিক্রম্য 
যা কষ্টে নিবারন করা যায়- দুর্নিবার 

যার চক্ষু লজ্জা নেই - চশমখোর 
যার আকার কুৎসিত - কদাকার
যার জ্যোতি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না - ক্ষণপ্রভা 
যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না- বর্ণচোরা 
যাহা কষ্টে অর্জন করা হয়- কষ্টার্জিত 
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে- প্রত্যুৎপন্নমতি
যার বসন আলগা- অসংবৃত 
যার দু হাত সমান চলে- সব্যসাচী
যার আগমনের কোন তিথি নেই- অতিথি
যার স্ত্রী মারা গেছে - বিপত্নীক 


যার তুলনা নেই অতুলনীয় 
যার  বাস স্থান নেই- অনিকেত
যার কোন উপায় নেই- অনন্যোপায়
যারা এক মাতার গর্ভে জন্মেছে- সহোদর 
যে অনবরত কাঁদছে - রোরুদ্যমান
যে উদ্ভিদ একবার ফল দিয়ে মারা যায়- ওষধি
যে নারীর সন্তান বাঁচে না- মৃতবৎসা 
যে ভূমিতে ফসল জন্মে না- ঊষর 
যে গাছে ফল ধরে কিন্তু ফুল ধরে না- বনস্পতি
যে বিষয়ে বিতর্ক নেই- অবিসংবাদি
যে পুরুষের এ যাবৎ দাঁড়ি গোঁফ জন্মায় নি- অজাতশ্মশ্রু

যে প্রবীণ নয় - নবীন 
যে ব্যক্তি কেবল নিজের বিষয়েই চিন্তা -আত্মকেন্দ্রিক 
যে নারী প্রিয় কথা বলে- অনূঢ়া
বরনের যোগ্য যিনি- বরেণ্য

ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি- ইতিহাসবেত্তা
ইতিহাস রচনা করেন যিনি- ঐতিহাসিক 
ইন্দ্রকে জয় করেছে -ইন্দ্রজিৎ
ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যিনি- জিতেন্দ্রিয় 
ইহলোকে যা সামান্য নয়- অলোকসামান্য 
ঈষৎ পাংশু বর্ণ- করা
উপকারীর উপকার স্বীকার করে  না যে- অকৃতজ্ঞ 

উপকারীর উপকার করেন যিনি- প্রত্যুপকারি
একই গুরুর শিষ্য- সতীর্থ 
ঋষির ন্যায় ঋষি তুল্য
এক বিষয়ে যার চিত্ত নিবিষ্ট- একাগ্রচিত্ত
একই সময়ে বর্তমান - সমসাময়িক 
এক হতে আরম্ভ করে- একাদিক্রমে 
কর্মে যার ক্লান্তি নেই- অক্লান্তকর্মী
ক্ষমার যোগ্য- ক্ষমার্হ
কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী- কর্মঠ
কনুই থেকে কবজি পর্যন্ত - রত্নি
কর্মে অতিশয় তৎপর- ত্বরিৎকর্মা

কর দান করে যে করদ
ব্যয় করতে কুণ্ঠাবোধ করেন যিনি- ব্যয়কুণ্ঠ
কর্মে যার ক্লান্তি নেই- অক্লান্তকর্মী
কূলের সমীপে- উপকূল 
কোনভাবে যা নিবারণ করা যায় না- অনিবার্য 
কি করতে হবে বুঝতে না পারা- কিংকর্তব্য বিমূঢ় 
খেয়া পার করে যে - পাটনী
গম্ভীর ধ্বনি- মন্দ্র
গবাদি পশুর পাল - বাথান
গোপন করার ইচ্ছা - জুগুপ্সা 
গৃহের প্রধান প্রবেশদ্বার-  দেউড়ি 

গাছে উঠতে পটু যে- গেছো
ঘোড়ার ডাক- হ্রেষা 
 চক্ষুরোগ সম্মুখে সংঘটিত - চাক্ষুষ 
চক্রের প্রান্তভাগ - চক্র সমা

চেটে খাওয়া যায় যা-লেহ্য
চৈত্র মাসের ফসল চৈতালি 
জয় সূচনা করে এরুপ তিথী- জয়ন্তী 
জানবার ইচ্ছা - জিজ্ঞাসা।
জয়ের জন্য যে উৎসব- বিজয় উৎসব
দিন ও রাতের সন্ধিক্ষণ- গোধূলি।