Mbdjobs is a Bengali educational website for Students,bd jobs seeker.best jobs preparation website.

২৫/১০/২০২১

প্রাচীনতম মানুষের পায়ের ছাপ ও বাঙালির উৎপত্তির ইতিহাস

 প্রাচীনতম মানুষের দূর্লভ পায়ের ছাপ ও বাঙালির উৎপত্তি 

যুগে  যুগে মানুষ তার উৎপত্তি, বিকাশ,বিবর্তন সম্পর্কে গবেষণা করেছে।যত দিন যাচ্ছে ততো মানুষ তার আদিনিবাস সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছে। যে তথ্য- প্রমাণ পুরনো চিন্তা বা ইতিহাসকে বদলে দিচ্ছে। আজ আমরা জানব প্রচীনতম মানুষের পায়ের ছাপ ও বাঙালির উৎপত্তি সম্পর্কে। 


ট্রাকিলোস ফুট প্রিন্ট: প্রাচীনতম মানবজাতির পায়ের ছাপ 


গ্রিসের ক্রিট দ্বীপে ৬০ লক্ষ বছরের পুরনো পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এগুলো এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে পুরনো পায়ের ছাপ। এই পায়ের ছাপগুলো পোলিশ জীবাশ্মবিদ জেরার্ড গিয়েরলিনস্কি খুঁজে পেয়েছিলেন ২০০২ সালে।ধারণা করা হয় মানুষের আদি নিবাস আফ্রিকা।প্রায় ২০ লক্ষ বছর পূর্বে  আফ্রিকা মহাদেশ থেকে মানুষ পৃথিবীর বিভিন্নপ্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু গ্রিসে নতুন করে পাওয়া প্রাচীনতম পায়ের ছাপগুলো পূর্বের ধারণাগুলোকে ভেঙে দিচ্ছে। এর আগে মানবসদৃশ  প্রাচীনতম পায়ের ছাপ বলে মনে করা হতো ১৯৭৬ সালে তানজিনিয়ায় পাওয়া লেটোলি ফুট প্রিন্টসকে।

তথ্য সূত্র: বিবিসি বাংলা

আরো বিস্তারিত পড়ুন লিংক


বাঙালি জাতির উৎপত্তি ও বিকাশ

বাঙালি জাতি বহুভাষা-ভাষী আদিবাসী, বিদেশি, আর্য-অনার্যদের মিলিত একটি সংকর জাতি।প্রায় পনেরশো বছর পূর্বে আর্য-অনার্যদের মিশ্রনে তৈরি প্রাকৃত ভাষা থেকে বিবর্তিত হয়ে আধুনিক বাংলা ভাষা ও ব্রাহ্মি লিপি থেকে সিদ্ধম লিপির মাধ্যমে আধুনিক বাংলা লিপির সৃষ্টি হয়েছে।  অষ্ট্রিক ও নিগ্রিটো জাতির মানুষও আর্য-অনার্যের সাথে মিলিত হয়ে গেছে। 

এবার জানা যাক আর্যগণ কারা? আর্যশব্দ একটি পরিভাষা। এবং একটি পদবী হিসাবে অনার্যদের থেকে আলাদা হওয়ার জন্য ব্যবহার করা হতো।আর্যদেরকে মূলত ইন্দো-ইয়োরোপীয় জনগোষ্ঠি বলা হয়। তাদের জন্মভূমি  ইউরেশিয়ান সমাধির একটি অঞ্চল যা ইউরাল নদীর তীরে অবস্থিত। আর্যরা ছিলো একটি যাযাবর জাতি।তারা মূলত পশুপালন করতো।ভারত উপমহাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চল ছিলো ঘন বন-জঙ্গলে ঢাকা।আর্যরা জঙ্গল কেটে স্থায়ী বসতি তৈরি করে।স্থানীয় আদিবাসীদের থেকে কৃষি জ্ঞান নিয়ে কৃষিকাজ ও গৃহে পশুপালন  শুরু করে।অনার্যরা শারিরীকভাবে দীর্ঘকায়,গৌর বর্ণ ও শক্তিশালী ছিলো।স্থানীয় আদিবাসীদের তাড়িয়ে সমাজে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিলো। 

অনার্য কারা ভারত উপমহাদেশের স্থানীয় আদিবাসী যারা যুগ যুগ ধরে এখানে বসবাস করে আসছে।দেখতে খর্বকায়, কালো,চ্যাপ্টা নাক এ বৈশিষ্ট্যগুলো অনার্যদের। অনার্যরা মূলত কৃষি কাজ করতো তাদের ধর্মগ্রন্থ ছিলো বেদ।বহু গোত্রে বিভক্ত ছিলো অনার্যরা। অনার্য তুলা,ধান,গম,আখ চাষ করতো।এখানকার তুলা বা তুলা পণ্য মেসোপোটেমিয়া সভ্যতা পর্যন্ত রপ্তানি হতো।দ্রাবিড়, অষ্ট্রিক,ভোটচীনীয়, নিগ্রিটো অনার্যরা মূলত এই চার ভাগে বিভক্ত ছিল।


এবার জানব ভাষা সম্পর্কে।  প্রাকৃত ভাষা কি? প্রাকৃত হলো স্থানীয় বাসিন্দাদের লোকমুখে প্রচলিত স্বাভাবিক বুলি বা শব্দ বা কথা।প্রাকৃত হতে আগত পালি ভাষা ছিলো বৌদ্ধ সাহিত্যের ভাষা।আর মাগধী প্রাকৃত হতে বাংলা,বিহারি, ওড়িশা ভাষার উৎপত্তি। আর শৌরসেনি প্রকৃত হতে হিন্দি ও পাঞ্জাবি এবং মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত হতে মারাঠি ভাষার উৎপত্তি। 

অষ্ট্রিক জাতি কারা?

অস্ট্রিক জাতি বা নিষাদ জাতি বা ইন্দো-এশিয়াটিক জাতি ইন্দো-চীন হতে আসাম হয়ে বাংলায় প্রবেশ করে।এরা কোল,সাঁওতাল, মুন্ডা,পুলিন্দ,মাল পাহাড়ি,শবর এসকল আদিবাসীদের পূর্ব পুরুষ। 

নিগ্রিটো জাতি কারা?নিগ্রিটোরা অস্ট্রিক জাতির পূর্বে এ দেশে আসে। নিগ্রিটোরা সবচেয়ে পুরনো বা প্রাচীন জাতি।

দ্রাবিড় জাতি কারা? আর্য জাতি আগমনের পূর্বে এ অঞ্চলে দ্রাবিড় জাতির প্রভাব বিদ্যমান ছিল।এরা অস্ট্রিকদের অনেক পরে এসে সবকিছু দখলে নিয়ে নেয়।

ভোটচিনীয় জাতি কারা? ভোটচিনীয়রা মঙ্গোলীয় । আর্যদের আগমনের পরে মঙ্গোলিয়দের আগমন ঘটে।গারো,কোচ,ত্রিপুরা,রাজবংশী,আরাকানী, চাকমা,নাগা এদের আদিপুরুষ হলো মঙ্গোলীয়রা।



আধুনিক বাঙালি

আমরা জানি বহু বিদেশি শাসক বাংলা শাসন করেছে।মগধ,পালবংশ,সেন, মোগল, ইংরেজ ইত্যাদি জাতি বাংলা শাসন করেন।এছাড়া,ডাচ,পর্তুগিজ, হল্যান্ড,আরব,আফগানি, ইরানিরা এদেশে এসেছেন। তাদের থেকে ভাষা,শিক্ষা ও সংস্কৃতির পরিবর্তন এসেছে। বহু বিদেশি ভাষা বাংলায় ঢুকে গেছে।এসেছে পোশাক ও ধর্মের পরিবর্তন।


তথ্যসূত্র: Wikipedia Bangla