Mbdjobs is a Bengali educational website for Students,bd jobs seeker.best jobs preparation website.

১৬/০৯/২০২২

Indira Gandhi biography books pdf

 ইন্দিরা গান্ধী  বায়োগ্রাফী

বাংলা অনুবাদ বইটি ডাউনলোড করতে নিচে যান

ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী। নামের শেষে প্রিয়দর্শিনী

শব্দটি যুক্ত করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নামের সঙ্গে

এ শব্দটির প্রয়োগ যে নিরর্থক নয়, তা ইন্দিরার

যেকোনও বয়সের ছবিতেই সুস্পষ্ট। ইন্দিরা

প্রিয়দর্শিনীর জন্ম ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর,

এলাহাবাদ শহরে। পিতা জওহরলাল নেহরু এবং

দাদা মতিলাল নেহরু।




সময়টা ১৯৭২-এর শরৎকাল। শারদীয়

দুর্গোৎসবের আয়োজন চলছে সারা ভারতে। তবে

মণ্ডপে দুর্গা প্রতিমার আদলটা কখন যেন পাল্টে

গেছে ইন্দিরা গান্ধীর মতো। সেই তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, উন্নত

নাশা, বুদ্ধিদীপ্ত অবয়ব। বর্তমান কংগ্রেস সভানেত্রী

এবং ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ সোনিয়া গান্ধী প্রয়াত

নেত্রীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে

বলেন, “বিশ্বে এমন কিছু মানুষ জন্মগ্রহণ করেন,

যারা মৃত্যুর পরও শুভ কাজে আমাদের

বিরামহীনভাবে অনুপ্রাণিত করে চলেন, ইন্দিরা

গান্ধী তাদেরই একজন।" ইন্দিরার প্রতি শ্রদ্ধা

জানাতে গিয়ে সোনিয়া বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের

প্রসঙ্গটিও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের

মুক্তিসংগ্রামে তার ভূমিকাই তার দূরদর্শিতা,

মানুষের প্রতি তার সুগভীর মমত্ব ও বিচক্ষণ

নেতৃত্বের পরিচয় বহন করে।

নেহরু পরিবারের সন্তান হিসেবে শৈশব থেকেই

বাবা ও দাদার রাজনৈতিক মতাদর্শ তাকে

প্রভাবিত করতে থাকে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে তার বাবা ও

দাদাকে মাঝে মাঝেই যেতে হতো কারাগারে।

একারণে, শৈশব কৈশোর অনেকটা একাকীত্বে

কাটে তার। একমাত্র সঙ্গী মা কমলা নেহরু ও মারা

যান ১৯৩৬ সালে। আরও বেশি একা হয়ে পড়েন

ইন্দিরা। ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার সময়ই সুদর্শন

ও বুদ্ধিদীপ্ত পারসিক যুবক ফিরোজ গান্ধীর সঙ্গে

পরিচয় হয় তার। এই পরিচয় থেকে প্রণয় এবং

| ১৯৪২ সালে পরিণয়। ১৯৩৮ সালে ইন্দিরা যোগ

দেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে। ১৯৪৭ সালে

ভারত স্বাধীন হওয়ার পর তার পিতা জওহরলাল

নেহরু প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ

করেন। ১৯৫৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লাল

বাহাদুর শাস্ত্রীর সরকারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব

পান ইন্দিরা। ১৯৬৬ সালে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর

মৃত্যুর পর তিনি ভারতে প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী

| হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি

অবস্থা জারি করে তিনি সমালোচিত হন এবং

| ১৯৭৭ সালে নির্বাচনে পরাজিত হন। ১৯৮০

সালে চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন

তিনি। সব মিলিয়ে তিনি ১৫ বছর দায়িত্ব পালন

করেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে।

ইন্দিরার রাজনৈতিক জীবনকে প্রধানত তিনভাগে

ভাগ করে থাকেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশের

মুক্তিসংগ্রাম পর্যন্ত সময়টা তার রাজনৈতিক

জীবনের উত্থানের পর্যায়। কংগ্রেসের প্রবীণ ও

চতুর নেতৃবৃন্দ ইন্দিরাকে পুতুল হিসেবে ক্ষমতায়

বসিয়ে কলকাঠি নিজেদের হাতে রাখার যে স্বপ্ন

দেখেছিলেন, ইন্দিরা তা উড়িয়ে দিয়ে জাতীয়

মানসে 'ভারত মাতা' হয়ে ওঠেন। ১৯৭৫ সালে।

জরুরি অবস্থা জারির পরবর্তী পর্যায়টি তার জীবনে

কালো অধ্যায় হিসাবে চিহ্নিত। ১৯৮০ সালের

নির্বাচনে তার পুনরায় ক্ষমতায় আরোহণ পরবর্তী

সময়টা তার জীবনে অনিশ্চয়তা ও সংশয়ে আচ্ছন্ন

পর্যায় বলে মনে করা হয়ে থাকে।

সমালোচনা ও সাফল্য-

সব মিলিয়ে ইন্দিরা

ভারতীয়দের মানসে যে আসন অর্জন করেছিলেন,

তা যেকোনও রাজনীতিকের জন্য ঈর্ষণীয়।



পুপুল জয়কারের  সংক্ষিপ্ত জীবনালেখ্য

পুপুল জয়কার ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। দেশটা

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করার অব্যবহিত পর থেকে তিনি স্বদেশীয় কৃষ্টি, হস্ত

শিল্প এবং বস্ত্রশিল্পের উন্নয়নের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত থেকেছেন। তিনি সর্ব-

ভারতীয় হস্তশিল্প পর্ষদের চেয়ারম্যান, জাতীয় চিত্রলেখ বিদ্যা সংস্থার পরিচালনা

সঙ্গের চেয়ারম্যান, ভারতীয় হস্তশিল্প ও হস্তচালিত তাঁতশিল্পের রপ্তানি সংস্থার

চেয়ারম্যান, জাতীয় ফ্যাশন প্রযুক্তি সংস্থার চেয়ারম্যান, ভারতীয় শিল্প-কৌশল

জাদুঘরের চেয়ারম্যান, বস্ত্রশিল্পের কেলিকো (বিছানার চাদর বা পোশাকের জন্য

সাদা বা রঙিন নকশা করা ভারতবর্ষীয় বস্ত্রবিশেষ) জাদুঘরের চেয়ারম্যান এবং গ্রেট

রিটেন, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানে অনুষ্ঠিত ভারতীয় অনুষ্ঠানগুলোর

চেয়ারম্যান হয়েছেন।

তিনি ভারতের কৃষ্ণমূর্তি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হয়েছেন এবং ১৯৮৬ সালে

কৃষ্ণমূর্তির একটা সর্বাধিক বিক্রয়যোগ্য জীবন ইতিহাস প্রকাশ করেছেন। তিনি

চন্দিরা গান্ধী : একটা জীবন ইতিহাসসহ অন্যান্য গ্রন্থ রচনা করেছেন;

যেমন-বসুমতি মা, বন্ধ্যা রমণীর সন্তান, বুদ্ধ এবং ঈশ্বর কোনো পূর্ণচ্ছেদ নন,

ভাটগল্পের একটি বই।


তিনি তৎকালীন ভারতের জাতীয় চারুকলা ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার ট্রাস্টেরম্যান এবং কৃষ্ণমূর্তি ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার সদস্যা।


 Indira Gandhi biography pdf file download 

Click to  download