প্রাচীন ভারতে কৃষি কাজ ও বিজ্ঞানের উদ্ভব সম্পর্কে
আমরা এখানে খ্রীস্টপূর্ব ৩য় থেকে ১ম সহস্রাব্দের কৃষি ও বিজ্ঞানের ইতিহাস বলব।
প্রাচীন ভারতে কৃষি কাজ
খ্রীস্টপূর্ব ৩০০০ সালে দিকে এই উপমহাদেশে দ্রাবিড় সভ্যতার বাস ছিল।তারা কৃষি কাজ করত,মাছ ও পশুপাখি শিকার করতো।ধান,গম,আখ ও তুলার চাষ করা হতো। এই অঞ্চলের কারিগরদের বেশ নাম ডাক ছিলো। তারা সোনা ও তামা,রুপার অলংকার বানাতে পারত।ভারতবর্ষের সূতি কাপড় এর ব্যাবসা মেসোপটেমিয়া সভ্যতা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো। আর্য যাযাবর সম্প্রদায় যখন পারস্য থেকে বিশাল গৃহপালিত পশুর পাল নিয়ে ভারতবর্ষে আশ্রয় নিলো তখন তারা এখানে স্থায়ী হয়ে কৃষি কাজ শুরু করে দিলো।বনের পশুদের পোষ মানিয়ে পালতে শুরু করলো।জানা যায় সর্বপ্রথম ভারতবর্ষের লোক বন্য মুরগিকে পোষ মানিয়ে গৃহে পালতে শুরু করে।গঙ্গা অববাহিকায় গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টি হতো তাই এখানকার মাটি বেশ উর্বর।ফসল ভালো জন্মাতো। গঙ্গা অববাহিকা অঞ্চলে প্রচুর ঘন বন-জঙ্গলে ভরপুর ছিলো।শোনা যায়, এতোটা ঘন যে বনের মধ্যে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারতো না। আর্যগণ সেসকল গহীন অরন্য কেটে স্থায়ী বসতি গড়ে। চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করে।তারা গরু দিয়ে হাল চাষ করতো।লোহার ফলা ব্যবহার করতো। এভাবে ভারতবর্ষে কৃষি কাজের বিস্তার হতে থাকে।
প্রাচীন ভারতের চিকিৎসাবিজ্ঞান:
শুধু যে প্রাচীন ভারতের রাজধানী পাটালিপুত্রে শল্য চিকিৎসা কেন্দ্র ছিল তা নয়।পুরো ভারতবর্ষে চিকিৎসালয় ছিল।এখানের চিকিৎসকগন মূলত আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় পারদর্শী ছিলো।তারা বহু গাছ- পালার ঔষধিগুন সম্পর্কে অবগত ছিল।সেগুলো বিদেশেও পাঠানো হতো।সেই সময় চিকিৎসক হতে গেলে চিকিৎসাশাস্ত্রে সাত বছর ধরে অধ্যায়ন করতে হতো।
শুধু তাই নয় প্রাচীন ভারতে হস্তশিল্প ও মৃৎশিল্পে বেশ খ্যাতি ছিল।দামী দামী পাথরের মূর্তি, থালা-বাসন,ও মাটির তৈরি গৃহস্থ তৈজসপত্র তৈরি করতে জানতো।সম্রাট অশোকের সময় সুউচ্চ দালান নির্মাণ শুরু হয়।
0 Comments