কোরআন ও হাদীসের আলোকে কৃষি কাজ
আমরা জানি সৃষ্টির আদি থেকে মানুষ কৃষি নির্ভর। কৃষি এই পৃথিবীর ৭৫০ কোটি মানুষকে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। ইসলাম ধর্মে কৃৃষিকে আলাদা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ।মহান আল্লাহ মানুষকে বুদ্ধি ও শক্তি দিয়েছে যাতে সে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তার কর্ম করে খেতে পারে। সূরা জুমায়াহ তে বলা হয়েছ "আর ফজরের নামাজ শেষ হলে তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড় এবং জীবিকা অন্বেষণ কর।আর বেশি বেশি আল্লাহকে স্বরণ করো যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। আমরা জানি রাসূল সাঃ ভেড়া পালন করেছেন ও করতে উৎসাহিত করেছেন।
অনাবাদি কৃষি জমির ব্যাপারে ইসলাম যা বলে
আবু হুরায়রা রাঃ বর্ণিত এক হাদিসে বলা হয়েছে, দূর্ভিক্ষ অনাবৃষ্টির কারনে হয় না। এ কারনে হয় যে বৃষ্টির পর বৃষ্টি পাও তবুও মাটিতে কিছু বপন করো না।
হাদীসে আরো আছে, যে ব্যাক্তি এমন অনাবাদি জমি চাষ করে যা অন্যের নয় সেই ব্যাক্তি ঐ জমির অর্ধেক দাবিদার।
আরো বলা আছে যার জমি আছে সে যদি চাষ না করতে পারে সে যেন তা অন্যকে দিয়ে দেয়।
এই হাদীসগুলো থেকে স্পষ্ট হয় যে কোন ভূমি ফেলে রাখা যাবে না।আমরা দেখতে পায় অনেকে জমি চাষ না করে ফেলে রাখে।এটা অন্যায়। যাদের জমি নেই তাদেরকে শর্তসাপেক্ষে চাষ করতে দেয়া উচিত। আসলে আধুনিক কৃষি ও জমির যথাযথ ব্যবহার না জানা ও খাদ্যের সুষম বন্টণ না হওয়ার কারনে খাদ্যাভাব দেখা দেয়।
বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি তে ইসলাম যা বলে
আনাস বিন মালিক হতে বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেছেন,
তোমাদের মধ্যে এমন কেউ কি নেই যে একটি গাছ লাগাবে অথবা কিছু বীজ বপন করবে। তারপর যদি সেই গাছের ফল পশু-পখী, অথবা মানুষে খায় তবে তা সাদগায়ে জারিয়া অর্থাৎ দানের সওয়াব হিসাবে গন্য হবে।
কৃষি গবেষণায় ইসলাম যা বলে
তিনি পশুকূল সৃষ্টি করছেন এগুলোতে রয়েছে তোমাদের জন্য শীত নিবারক উপকরণ ও উপকার আর তা থেকে তোমরা আহার্য পেয়ে থাকো ( আন নাহল-০৫)
মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক, আমিতো অঝোর ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করেছি। অতঃপর মাটিকে বিদীর্ণ করেছি আর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্যাদি, আঙ্গুর, জলপাই, খেজুর, বহু বৃক্ষ বিশিষ্ট বাগান ফল-ফলাদি ও ঘাস। এসব তোমাদের ও তেমাদের পালিত পশুকুলের জীবন ধারণের জন্য। (সূরা আবাছা ২৪-৩২)
হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেছেন, " তোমরা জমিনের প্রচ্ছন্ন লুকায়িত ভান্ডারে খাদ্য অন্বেষণ করো।
কৃষি উন্নয়নে ওমরের ভূমিকা
হযরত ওমরের শাসনামলে কৃষির ব্যাপক উন্নয়ন হয়।বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নদী-নালা সংস্কার, জলাধার নির্মাণ করা হয়।শুধু মিশরেই এক লক্ষ কৃষি শ্রমিক নিয়োজিত ছিল বলে জানা যায়।
0 Comments