জৈব ও রাসায়নিক সারের ইতিহাস
আদিম যুগ থেকে মানুষের প্রধান পেশা ছিল পশু-পখী শিকার করা।।পৃথিবীতে যখন মানুষ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং পশু-পাখির সংখ্যা কমতে শুরু করে মানুষ তখন কৃষি কাজের দিকে ঝুঁকে পড়ে। জানা যায় পুরুষ লোক শিকারের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ত আর নারীরা ঘরে সংসারের কাজ সেরে কৃষি কাজ করতো।শুধু গাছ লাগালে তো আর দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। অধিক ফল-ফসল পেতে গাছের প্রয়োজনীয় যত্ন ও খাবার দিতে হয়।
আর সেই ধারণা থেকে সারের ব্যবহার শুরু হয়।
রাসায়নিক সার
মানুষ ঠিক কবে থেকে জৈব সারের ব্যবহার শুরু করে তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা যায় সেই প্রস্তর যুগ থেকে মানুষ কৃষি কাজে জৈব সারের ব্যবহার জানতো। মিশরীয়, রোমানিয়া, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা ও পরে জার্মানিরা কৃষিতে প্রাকৃতিক সারের ব্যবহার করতো। তারা পোষা প্রাণীর বিষ্ঠা ও কাঠের ছাই জমিতে মিশিয়ে চাষাবাদ করতো।
১৯ শতকের শুরুর দিকে মানুষ প্রথম রাসায়নিক সারের উৎপাদন ও ব্যবহার শুরু করে। প্রথম উৎপাদিত রাসায়নিক সার হলো সুপার ফসফেট।১৮৬১ সালে জার্মানিতে প্রথম পটাশিয়াম সারের কারখানা তৈরি হয়। আর নর্থ আমেরিকাতে তৈরি হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দিকে।
১৯০৩ সালে ইলেকট্রিক আর্ক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাইট্রিক এসিড দিয়ে ক্যালশিয়াম কার্বনেট তৈরি করা হয় যা গাছের নাইট্রোজেন সার হিসাবে ব্যবহার হতো।পরবর্তীকালে ১৯০১৩ সালে আ্যমোনিয়া দিয়ে আধুনিক নাইট্রোজেন সার তৈরি করা হয়। প্রাণীর হাড় গুঁড়া ও ফসফেট পাথর গুঁড়া মিশিয়ে ফসফেট সার হিসাবে ব্যবহার শুরু হয়।
0 Comments