প্রাচীন মিশরের জ্ঞান বিজ্ঞান

 

 প্রাচীন মিশরের জ্ঞান বিজ্ঞান ও কৃষি কাজে জ্যোতির্বিদ্যার অবদান  সম্পর্কে জানুন


মিশরে গনিতশাস্ত্রের উৎপত্তি 

খ্রীস্টপূর্ব ২০০০ সালে

যারা কৃষি কাজ করত নানান বিষয়ে তাদের হিসাব নিকাশ করতে হত।কি পরিমাণ ফসল উৎপাদিত হবে? এটা কত দিন চলবে? এসব হিসাব রাখতে হত।পুকুর খনন,জমি বন্টণ ইত্যাদি নিখুঁতভাবে করতে তারা জ্যামিতির উদ্ভব ঘটায়।এভাবে সকলের সমবেত পরিশ্রম ও চেষ্টায় সৃষ্ট হয়েছিল গণিতশাস্ত্র। মিশরীয়রা ভগ্নাংশ ও লক্ষ সংখ্যার হিসাব জানতো।আমরা একথা সকালে জানি যে, মিশরীয়রা প্রথম সফলভাবে পাটি গনিত ও জ্যামতির প্রসার ঘটায়।


মিশরে জ্যোতিরবিদ্যার উদ্ভব 

নীল নদের বন্যার সময় হলে জমি,খাল এবং বাঁধের দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হতো।তারা লক্ষ্য করে যে, প্রতি বছর বন্যার সময় আকাশের তারকাগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্থান করে।সমুদ্র ও মরুভূমিতে তারা আকাশের তারকাপুঞ্জ পর্যবেক্ষণ করে রাশিচক্র তৈরি করেছিল।এভাবে মিশরে জ্যোতিরবিদ্যার চর্চা হতে থাকে।শুধু তাই নয় তারা বর্ষপঞ্জি বা ক্যালেন্ডার তৈরি করেছিল।তারা হিসাব করে বের করেছিল যে ৩৬৫ দিনে এক বছর হয়।


প্রাচীন মিশরে চিকিৎসাবিজ্ঞান 

প্রাচীন মিশরীয়দের শল্য চিকিৎসায় যে সকল যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করা হতো তা খুঁজে পাওয়া গেছে। তারা যেহেতু মানুষের  মমি তৈরি করতে জানতে তাই তারা মানুষের শরীরের গঠনপ্রকৃতি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান ছিল।ফলশ্রুতিতে অপারেশন করতে সুবিধা হতো।তারা  ঔষধি গাছ  ও এর গুনাগুন সম্পর্কে জানতো।


শুধু তাই নয়  তারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে এতোটা এগুয়ি ছিল যে সেগুলো লিখে রাখতে একসময় লিপি বা অক্ষর তৈরি করা হয়।লিপি উদ্ভবের পূর্বে তারা ছবি একে নিজেদের বক্তব্য, জ্ঞান,ইচ্ছা প্রকাশ করতো।


Post a Comment

0 Comments