আয়না কিভাবে কাজ করে?

 পুস্তকের ভাষায় আয়নাকে দর্পন নামেও ডাকা হয়।

আয়নার আরো কিছু সমার্থক শব্দ আছে।আয়নার সমার্থক শব্দগুলো হলো মুকুর, আরশি

এবার জানবো  কে কত সালে আয়না আবিষ্কার করেন 

জার্মান রসায়নবিদ জাস্টিস ভন লাইবিগ ১৮৩৫ সালে আয়না আবিষ্কার করেন। স্বচ্ছ কাঁচের একপাশে টিন ও পারদ ব্যবহার করে প্রথম আয়না বা মুখ দেখার দর্পন তৈরি করেন। 

আয়নার পিছনে কিসের প্রলেপ থাকে জানেন?  আমরা আগেই বলেছি আয়নার আবিষ্কারক আয়নার একপাশে পারদ ও টিনের ব্যবহার করেছিলেন। 

বর্তমানে সিলভারিং করা হয়।

চলুন জেনে নেয়া যাক আয়নায় কিভাবে মুখ দেখা যায়?

শুধু যে আয়নাতে মুখ দেখা যায় তা নয় স্বচ্ছ যেকোন কাঁচ বা মসৃন পলিশিং ধাতুতে মুখ দেখতে পারবেন। কিন্তু আয়নাতে কি এমন দেয়া  থাকে যাতে আপনি স্পষ্ট চেহারা দেখতে পারেন।আসলে ব্যাপারটা হলো আলোর প্রতিফলন। যে বস্তুর গায়ে আলো পড়লে আলো শোষনের চেয়ে প্রতিফলিত করে বেশি এমন বস্তুর  দিকে তাকালে আপনি আপনার চেহেরা দেখতে পাবেন।আপনি নদী বা পুকুরের দিকে তাকান নিজের চেহারা দেখতে পাবেন। কিন্তু ছায়া আকারে অস্পষ্ট কারন পানি এখানে আলো শোষন করে নিচ্ছে যতটুকু প্রতিফলিত করছে ঠিক ততোটুকু দেখতে পাচ্ছেন।কিন্তু স্বচ্ছ আয়নার উপর পতিত আলোর প্রায় সবটুকু প্রতিফলিত হওয়াতে আপনি আপনার চেহারা স্পষ্ট দেখতে পান।

আয়না নিয়ে যত কথা| mirror talk


আয়না নিয়ে বাংলা ভাষায় কিছু কথা ও প্রচলিত মতবিশ্বাস আছে যেমন রাতে আয়নায় মুখ দেখতে হয় না।আয়না নিয়ে বিখ্যাত গান আছে, 

আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন, কপোলের কালো টিপ পড়বে চোখে, 

আমার রিদয় একটা আয়না, এই আয়নায় তোমার মুখটি ছাড়া কিছুুই দেখা যায় না

আমরা কাউকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলি, আগে নিজের আয়নায় মুখ দেখো, বিবেকের আয়নায় দেখো,আয়নায় নিজের চেহারা দেখো ইত্যাদি। 

আয়নাবাজি নামে আলোচিত এক সিনেমাও আছে।

 দর্পন প্রধানত দুই প্রকার 

সমতল দর্পন আর গোলীয় দর্পন। গোলীয় দর্পন আবার দুই প্রকার উত্তল আর অবতল দর্পন।

তো আমরা বাড়িতে  নিজের চেহারা দেখার জন্য যে আয়না ব্যবহার করি তা মূলত সমতল দর্পন। 

 

Post a Comment

أحدث أقدم