বিড়াল ছানার মা রুমানা বৈশাখী

পশু-পাখি অনেকে ভালবাসে। তবে সাধারণত মানুষ ঐ সকল পশু-পাখি ভালবাসে যাদের মাংস খাওয়া যায় অথবা বিক্রি করে টাকা উপার্জন করা যায়। কিন্তু এজগতে এমন  মানুষও আছ যে কিনা পুরো জীবনটা বিড়ালদের মা হয়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন। নিজের শেষ সম্বল অর্থ, সময় ইত্যাদি ব্যায় করে। 

বিড়ালদের নিয়ে ভিডিও বানিয়ে অনেকে অর্থ উপার্জন করছেন। কিন্তু প্রকৃত মা-বাবা হতে পেরেছেন কতজন?

পেরেছেন এমন একজন বিড়াল মায়ের নাম রুমানা বৈশাখী। রুমানা বৈশাখী একজন লেখক। বইটই.কম.বিডি তে উনার  ই-বুক পাওয়া যায়।যেমন যে মেয়েটি ভাত বেশি খেতো, নবনীর সাজঘর, যে শহরে আমি নেই, লাট মিয়া, তার কোন ছায়া ছিল না ইত্যাদি । এছাড়া রুমানা বৈশাখীর  প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।যেমন এবং ও অতঃপর,  ঋতানৃত, হিপোক্রেট, দুঃস্বপ্নের রাত, বিভীষিকা, অপদেবতা ইত্যাদি।

ফেসবুক থেকে নেয়া।

 

রুমানা  বৈশাখী Priyo Answer এর বিভাগীয় সম্পাদক ও বিভাগীয় প্রধান (লাইফ) Priyo News এর।

তো আসল কথায় আসা যাক। সাহিত্যের প্রতি আমি বরাবরই আগ্রহী। তাই বিভিন্ন লেখক যারা ফেসবুকে আছেন তাদেরকে আমি ফলো করতাম।তাদের লেখা নিয়মিত পড়তাম।পড়তাম বলতে এখন আর পড়া হয় না।ব্যক্তিগত কাজে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছি।

তো যাদের লেখা নিয়মিত পড়তাম তাদের একজন লেখক রুমানা বৈশাখী। মা যেমন নিজের সন্তানকে বুকে জড়িয়ে রাখেন রুমানা বৈশাখী তেমন তার বিড়ালদের নিজের সন্তানের মত বুকে রাখেন। তাদের সুখে হাসেন, দুখে কাঁদেন। যখন তার আদরের সন্তান গুল্লু  ও রকো মারা যায়  (বিড়াল ছানার নাম) তখন রুমানা বৈশাখীর আবেক আপ্লূত লেখা আমাদেরকেও ব্যথিত করেছিল।এতোদিন হয়ে গেল তবুও সে তার মারা যাওয়া সন্তানদের ভুলতে পারে নি।

রুমানা বৈশাখীর মারা যাওয়া সন্তান রকো


তার অন্য সন্তানদের নাম ছিল, বান্নু, বাতেন, মরুকো,মিনি,বুবুন, ববিতা, ইকরি, টুকটুকি, হালুম, আরো অনেক। আমি জানি না তার অন্য সন্তানদের কী অবস্থা। কারণ এখন আর তেমন ফেসবুকে যাওয়া হয়না। আর গেলেও আর কারর লেখা পড়া হয় না।

তো উনি রাস্তা থেকে অসুস্থ বিড়াল উদ্ধার করে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করেছেন।এবং নিজের সন্তানের মর্যাদা দিয়েছেন। গর্ভবতী বিড়ালদের গর্ভবতী মায়েদের মত সেবা করেন।

একজন পুরুষ যে বিড়াল ছানার বাবা হতে পারেন তার উদাহরণ হলো হযরত আবু হুরায়রা (রা:)। আর একজন নারী যে বিড়াল ছানাদের মা হতে পারেন তার উদাহরণ বাংলাদেশী লেখিকা রুমানা বৈশাখী।

আমি রুমানা বৈশাখীকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না।ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম।  উনি একসেপ্ট না করলেও নিউজ ফিডে উনার লেখা আসতো।তাই পড়তাম।

কাউকে নিয়ে লিখতে হলে তার সাথে পরিচয় থাকা লাগবে এমন আদর্শে আমি বিশ্বাসী নয়। এই যে উনাকে লিখছি তিনি জানেন না। একজন নারী বিড়াল সন্তানদের জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে চলেছেন, এটা আমাকে আবেগ তাড়িত করেছে।তাই লিখলাম। 


রুমানা বৈশাখীর ফেসবুক লিংক 

https://www.facebook.com/rbaishakhi

Post a Comment

أحدث أقدم