ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উদ্ভব 

ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে ইন্দো-ইউরোপীয়> শতম-আর্য ভাষা >প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা > প্রাচীন ভারতীয় আর্য কথ্য>  প্রাচীন প্রাচ্য প্রাকৃত >গৌড় প্রাকৃত> গৌড় অপভ্রংশ > বাংলা ভাষা থেকে। 

ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার শাখা কয়টি?

ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার মোট ১৪ টি শাখা রয়েছে। এর মধ্যে ৮ টি এখনো সক্রিয় যেমন কেল্টলীয়,জার্মানীয়,হেলেনীয়, ইন্দো-ইরানীয়, ইতালীয়, আলবেনীয়,আর্মেনীয়, বাল্টো-স্লাভীয় আর বাকী ছয়টি শাখা এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। 

কেন্তম ভাষা কাকে বলে?

যে ইন্দো-ইয়োরোপীয় শব্দগুলো "ক" কন্ঠ ধ্বনির কোন পরিবর্তন হয় নি তাকে কেন্তম ভাষা বলে।

শতম ভাষা কাকে বলে?

যে কেন্তম শব্দগুলো পরিবর্তন হয়ে স বা শ কন্ঠ ধ্বনিতে রুপান্তর ঘটেছে তাকে শতম ভাষা বলে।

প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা  ও কথ্য ভাষা

বৈদিক ও সংস্কৃত ছাড়াও আঞ্চলিক উপভাষার মিশ্রণ ছিল। খ্রীষ্টপূর্ব ১৫০০-৫০০ পর্যন্ত এভাষার ব্যাপক  উপস্থিতি ছিল।প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষায় ঋ, ৯,এ,ঐ,ও,ঔ স্বরধ্বনি ও শ,ষ,স ব্যাঞ্জন ধ্বনি এবং ক্ত,ক,ক্ষ্ম, দ্ম,ম,জ্ঞ এসকল সংযুক্ত অক্ষরগুলোর অস্তিত্ব ছিল।

প্রাকৃত ভাষার উৎপত্তি 

প্রাকৃত শব্দের অর্থ স্বাভাবিক। প্রাকৃত ভাষা বলতে প্রাচীন ভারতীয়দের লোকমুখে প্রচলিত স্বাভাবিক ভাষা।যা কোন সাহিত্যের ভাষা ছিল না।প্রাকৃত ভাষা থেকে ইন্দো-আর্য ভাষার উৎপত্তি। যেমন পালি প্রকৃত থেকে বৌদ্ধ ভাষা সাহিত্যের উৎপত্তি।মাগধী থেকে আসমিয়া, বাংলা,বিহারী,ওড়ীয়া ভাষার উৎপত্তি।শৌরসেনী প্রাকৃত পশ্চিমী হিন্দি, পাঞ্জাবি। অর্ধমাগধী থেকে পূর্ব হিন্দি ও  মহারাষ্ট্রীয় প্রাকৃত হতে মারাঠী ভাষার উৎপত্তি। 


অপভ্ভ্রংশ শব্দটি অপশব্দ বা অপভ্রষ্ট থেকে উৎপন্ন। যা প্রাকৃত ও পালি থেকে উৎপন্ন হয়েছে। আর অপভ্রংশ কথাটির অর্থ বিকৃত।ড.মোহাম্মদ শহিদুল্লাহর মতে সপ্তম শতাব্দীতে বাংলা ভাষার উৎপত্তি।  বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে প্রত্যক্ষভাবে অবদান বেশি অপভ্রংশের। 





Post a Comment

أحدث أقدم