বজ্রপাত ও সচেতনতা
বজ্রপাত বাংলাদেশে কত মানুষ মারা যায়?
বজ্রপাতে প্রতি বছর প্রায় ২০০ লোক মারা যায়।বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৫০ টি বজ্রপাত হয়।অর্থাৎ প্রতি বছরে প্রায় ৬৫ লক্ষ লোক মারা যায়।
বজ্রপাত কেন হয়?
মেঘের ভিতর ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস এবং অপেক্ষাকৃত গরম ও জলীয় বাষ্প ভর্তি বাতাসের মিশ্রণের ফলে বরফের কুচি ও নরম শিলার তৈরি হয়।বাতাসের ধাক্কায় বরফের কুচি আর নরম শিলার ঘষায় বরফের কুচিতে ধনাত্মক ও আর শিলায় ঋনাত্মক চার্জ তৈরি হয়।মেঘের উপরের দিকে ধনাত্মক ও নিচের দিকে ঋনাত্মক চার্জ তৈরি হয়।ফলে বিদ্যুৎ চমকায় ও প্রবল শব্দ সৃষ্টি হয়।
বজ্রপাতে গাছের নিচে দাঁড়ানো যাবে কিনা?
উত্তর হলো না।গাছ উঁচু। আর উঁচু স্থানে বজ্রপাত বেশি হয়। কারণ বিদ্যুৎ মাটিতে পৌছানোর পূর্বে গাছের স্পর্শে আসে।হাইভোল্টের বিদ্যুৎ গাছের রেজিস্ট্যান্সের কারণে গ্রাউন্ডিং হতে পারে ফলে গাছের পুড়ে আগুন ধরে যায়।তাই বিশেষজ্ঞগণ বলে থাকেন দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হবে।বৃষ্টির মধ্যে বাইরে থাকা ঠিক না।সাধারণত বাংলাদেশে যারা বজ্রপাতে মারা যায় তাদের বেশিরভাগই কৃষক। চেষ্টা করতে হবে অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গায় শুয়ে থাকার। অথবা দ্রুত বাড়িতে ফিরতে হবে।
বজ্রপাত কত ভোল্টের হয়?
আমরা জানি বাসাবাড়িতে ২২০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন দেয়া হয় আর কলকারখানায় ৪৪০ ভোল্টের সংযোগ দেয়া হয়। সেখানে বজ্রপাতের সময় ১২৫ মিলিয়ন ভোল্টের বিদ্যুৎ সৃষ্টি হয়।
বজ্রপাতের আলোর তাপমাত্রা কত?
আমরা জানি সূর্যের তাপমাত্রা ৬০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস সেখানে বজ্র আলোর তাপমাত্রা ১৫০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Thunderbolt lights |