আমরা কেন ধর্ম পালন করি?


মানুষ দরকারবাদে বিশ্বাস করে।যখন যেটা প্রয়োজন সেটা করে।ন্যায় হোক বা অন্যায়।মানুষ না পারে ধর্ম পূর্ণ অনুসরণ করতে আর না পারে ধর্মকে ছেড়ে দিতে।একজন দূর্নীতিবাজ লোককে জিজ্ঞেস করুন সে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে কিনা সে বলবে "হ্যাঁ"।জিজ্ঞেস করুন তবে কেন দূর্নীতি করেন। সে এর কোন উত্তর দিতে পারবেনা। ধর্মবিশ্বাসীরা জানে পরকালে তাদের বিচার হবে তবুও কেন তারা পাপ করে? এর উত্তর তাদের কাছে নেই।এই বিশ্বাসের মূল্য কতটুকু? দেখবেন বেশিরভাগ লোক শেষ বয়সে গিয়ে ধর্ম পালন শুরু করে।কারণ তখন আর তার ধর্ম পালন ছাড়া অন্য  কোন কাজ থাকে না। আয়ু শেষ হয়ে আসে,চুল পেকে যায়।মৃত্যুভয় জেঁকে বসে তখনই মানুষ ধার্মিক বনে যায়।

মানবতা ও ধর্মের শত্রু কারা?

যারা ধর্ম পালন করে না তারা মানবতা ও ধর্মের শত্রু হতে পারে না। ধর্ম ও মানবতার শত্রু তারা যারা ধর্মে বিশ্বাস করেও অন্যায় ও পাপ কাজ করে বেড়ায়।

যারা নাস্তিক ধর্মের ভাষায় তারা অবুঝ।আর অবুঝ লোক ভুল তো করবেই। কিন্তু যাদের ধর্মে বিশ্বাস আছে তারা তো অবুঝ নয়।তবে কেন তারা ভুল করে।

বলুনতো যে লোক ধর্মে বিশ্বাস করে অথচ পাপ করে,ধর্ষন করে,খুন করে,দূর্নীতি করে এমন লোক ভালো নাকি এমন একজন সে ধর্মে বিশ্বাস করে না এবং কোন অন্যায় কাজ করে না। অবশ্যই ঐ বিশ্বাসী অপরাধীর চেয়ে সৎ অবিশ্বাসী ভালো।

ধর্মে বিশ্বাস করেও যে অন্যায় করে তারচেয়ে তো নাস্তিক ভালো।ধর্মে বিশ্বাস করেও যে পুঁজিবাদী তার চেয়ে তো কার্লমার্ক্স উত্তম।

বিশ্বাসী ও সৎ মানুষ সমাজে অনেক। এদের কারণে পৃথিবীটা আজো টিকে আছে।তবে বিশ্বাসী অথচ পাপী এমন লোক বাড়ছে।


ধর্মে যদি বিশ্বাস করেন তবে জেনে বুঝে ধর্ম পালন করুন। আর যদি বিশ্বাস না করেন তবে ভিন্ন কথা। এটা আপনার ব্যাক্তিগত বিশ্বাসের ব্যাপার। 

তবে যারা ধর্মে বিশ্বাস করেও অন্যায় করে তারা এমন বিশ্বাস নিয়ে পরকালে কোন ফায়দাটা পাবে বলুন।

সারাজীবন অন্যায় করে শেষ বয়সে ধার্মিক হয়ে লাভ কী? যাদের উপর অন্যায় করেছেন পরকালে তারাতো আপনাকে ক্ষমা করবে না।

Previous Post Next Post