মানুষের আত্মীয়তার  সম্পর্কগুলো


দুটি বিপরীত লিঙ্গের মানুষ থেকে আরো কিছু মানুষের জন্ম হয়।তাদেরকে মানব শিশু বলে।অতি আদরে বড় হয় বাচ্চাগুলো।কেউ ভাই, কেউ বোন।একই ছাদের নিচে মাতা-পিতা, ভাই-বোন থাকে।ছোট বোন বা ভাই বড় বোন বা ভাইয়ের গলা জড়িয়ে ঘুমায়।বড় বোন বা ভাই ছোটদের আদর করে।গল্প শোনায়।ব্যাথা পেলে দৌড়ে এসে কোলে নেয়।বাবারা প্রচুর পরিশ্রম করে।অর্থ আয় করে।সম্পত্তি বানায়।বাচ্চারা বড় হয়।এক ঘর থেকে দুই ঘর বা আরো কিছু ঘর প্রয়োজন হয়।মা-বাবা, ভাই-বোন আলাদা ঘরে থাকতে শুরু করে।শৈশবের অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়।বোনের বিয়ে হয়। দূরে কিংবা কাছে।নিজ বাবার বাড়িতে আসে মাঝে মাঝে।বাবার বাড়ি হয়ে যায় বেড়াতে আসা অতিথি। ভাইয়ের বিয়ে হয়।নতুন নতুন মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি হয়।নতুন সম্পর্ক রক্ষায় মা-বাবা থেকে তারা আলাদা হয়ে যায়।ভাই তখন আলাদা হয়ে বাবার দায়িত্ব পালন করে। এতোটা আলাদা যে সম্পর্কের দূরত্ব বাড়তে থাকে।তখনো বাবারা প্রচুর পরিশ্রম করে।বাবাদের সাথে নিজ মেয়ে বা ছেলের সম্পর্ক থাকে না।মা-বাবা মারা যায়।লাশ উঠানে রেখে ভাই-বোনগুলো সম্পত্তির হিসাব কষতে থাকে।ছোটকালের আদর তারা ভুলে যায় ।৪০ কিংবা ৫০ বছর পর তাদেরও একই পরিণতি হয়। মাঝখানে মানুষগুলো জীবনের আলাদা আলাদা অধ্যায় পার করে।এভাবে চলতে থাকে গল্প।

লেখক আব্দুর  রহমান শিপুল

নবীনতর পূর্বতন