ঘরোয়া কাজে ব্যবহ্নত  একসময়কার বিভিন্ন পাত্রের পরিচিতি


আকার ও অঞ্চল ভেদে কলসির বিভিন্ন নাম

কলসির সমার্থক নামগুলো হলো

গাগরা,গাগরি,নাগরি, ঠিলি, ডাবরা, ডাবরি, কারফা, চুকা,চুকাই,ঘয়লা, পোইলা,ভাড়।

তবে সব কলসি পানি রাখার  পাত্র বোঝায় না।

যেমন যে পাত্রে  গুড় রাখা হয় তাকে নাগরি বলে

যে পাত্রে খেজুর রস রাখা হয় তাকে ঠিলি বলে

পূজার জন্য যে কলসি ব্যবহার হয় তাকে ঘট বা ডাবরি বলে।

তেলের কলসিকে ভাড় বলে।

পিতলের  তৈরি ঘড়াকে কলসি বলা হয় না।



কুলা বা কুলো কী?

ধান,চাল,গম ঝেড়ে পরিস্কার করতে বাঁশের বেতের তৈরি কিছুটা  সরু-লম্বা সমতল পাত্র।


এসময় কুলো দিয়ে নববধূ বরণ করা হতো।তাই কুলোর আরেক নাম বরণডালা।


কেড়ে বা কাঁড়া

একসময় গরুর দুধ দুয়াতে যে পাত্র ব্যবহার হতো তাকে কেড়ে বা কাঁড়া বলা হতো।


গামলা 

মাটি বা ধাতুর তৈরি একধরনের পাত্র।অঞ্চল ও স্থানভেদে গামলার বিভিন্ন নাম রয়েছে যেমনঃ

গাবলা, চাড়ি, চাড়িয়া, টাট,ডেবা, মাজলা,মেজলা, পাতনা, পাদনা, তাগাড়ি


ঝিঁক কাকে বলে?

মাটিতে ছোট গর্ত করে যে চূলা বানানো হয় তাতে রান্নার পাত্র বসানোর জন্য তিনটি কিছুটা উঁচু শিঙ্গ বানানো হয় এগুলোকে ঝিঁক বলে।


ধামা কাকে বলে?

একসময় গ্রামে ধামার ব্যবহার হতো। সাধারণত ধামা ছিল বেতের তৈরি।  খাদ্য শস্য রাখা ও বহনের জন্য ধামা ব্যবহার হতে। ধামা কখনো কখনো মাপার কাজে ব্যবহার হতো ঠিক কিন্তু  নির্দিষ্ট কোন মাপ বোঝাতো না।


বঁটি কী

উত্তর: সাধারণত রান্নার তরকারি কাটতে বঁটি ব্যবহার হয়। এট উত্তর ভারত থেক পুরো ভারত উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। 

ঘটি কী?

পানি খাওয়ার ছোট পাত্র বিশেষ। কলসি থেকে পানি তুলে ঘটিতে রেখে খেত লোকে। এখন যেমন জগ,মগ গ্লাস ব্যবহার তেমন।


ঘড়া কী

এটিও পানির রাখার পাত্র। কলসি থেকে কিছুটা ছোট।আগে মাটির তৈরি ঘড়া পাওয়া যেত।সাধারণত মাটির তৈরি ঘড়াকে কলসি বলা হয় আর পিতলের তৈরি যেটা সেটা হলো ঘড়া। নদীয়ার লোক ঘড়াকে ঠিলি বলে।

পূর্বে ব্যবহ্নত বিভিন্ন ধরনের ঘড়ার নাম ছিল। যেমন, কাকমারী ঘড়া, রাজনগর ঘড়া, জামুই ঘড়া বা সর্বসুন্দরী ঘড়া,ঠিলি ঘড়া ইত্যাদি। 



 






Previous Post Next Post