ছয় ঋতুর নাম ও নামের অর্থ 

আমরা জানি আমাদের দেশ ছয় ঋতুর দেশ।ঋতু শব্দের অর্থ কাল বা সময়। ছয় ঋতুর নাম কিভাবে এলো। কোন  ঋতুতে কোন মাস।ঋতুর নামগুলো কোন ভাষা থেকে আগত চলুন এসকল বিষয়গুলো জেনে নেয়া যাক।


গ্রীষ্ম:  গ্রীষ্ম (Grishma) শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত।গ্রীষ্ম অর্থ গরমের দিন,নিদাঘ।বাংলা মাসের বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্যমাস জুড়ে গ্রীষ্মকাল।ইংরেজি মাসের মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য জুন।গ্রীষ্মকালে মাটি শুকিয়ে যায়।বায়ুর তাপমাত্রা বেড়ে যায়।শেষের দিকে দেখা যায় কালবৈশাখীর ঝড়।

বর্ষা:  বর্ষা (Varsha) শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসছে।বর্ষা শব্দের অর্থ বৃষ্টি, ভেজা ইত্যাদি। বাংলায় আষাঢ় ও শ্রাবণ বর্ষার মাস।আর ইংরেজি  মাসের মধ্য জুন থেকে মধ্য আগস্ট পর্যন্ত বর্ষাকাল। বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি হয়।


শরৎ (Sharad) : শরৎ শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত। ইংরেজিতে এ ঋতুকে ফল (Fall) বলা হয়। কারন এ ঋতুতে গাছের পাতা ঝড়ে যায়।আবহাওয়া  শীতল হতে থাকে। বাংলায় ভাদ্র ও আশ্বিন মাসে ও ইংরেজি মাসের মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য অক্টোবর  শরৎকাল। হিন্দু ধর্মের অনেকে (ছেলেরা) শরৎ নাম রাখে)


হেমন্ত (Hemant):  হেমন্ত শব্দটিও সংস্কৃত শব্দ। আমরা জানি হেমন্ত নামের একজন বিখ্যাত শিল্পী রয়েছেন। হেমন্ত শব্দের অর্থ সোনা, শীত, ঠান্ডা ভাব ইত্যাদি। বাংলায় কার্তিক ও অগ্রহায়ণ হেমন্তকাল।ইংরেজি মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য ডিসেম্বর হেমন্তকাল।


শীত: শীত শব্দের অর্থ  হিম,বরফ, শীতল,ঠান্ডা ইত্যাদি। বাংলায় পৌষ ও মাঘ মাসে শীতকাল। ইংরেজি মধ্য ডিসেম্বর থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারী  শীতকাল।

বসন্ত  (Basant) : বসন্ত শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত।বসন্তকে ঋতু রাজ বলা হয়।চারিদিকে ফুলে ফুলে ভরে উঠে।মধ্য ফেব্রুয়ারী থেকে মধ্য এপ্রিল  ও বাংলায় ফাল্গুন-চৈত্র মাসকে বসন্তকাল বলা হয়।


Previous Post Next Post