গ্রীকের প্রথম নারী চিকিৎসক 

আগ্নোদিচে (Agnodice) চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেন। কিন্তু তিনি তো নারী।একজন নারী কিভাবে চিকিৎসক হবে? ইতালির লেখক (ল্যাতিন) জুলিয়াস হাইজিনাস তার  বই ফ্যাবুলা (Fabluae) তে লিখেছেন, প্রাচীন গ্রীকে নারীরা চিকিৎসাবিদ্যা গ্রহণ নিষিদ্ধ ছিল।কিন্তু খ্রীস্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দীতে জন্ম নেয়া আগ্নোদিচে নামের একজন নারী তার চুল কেটে,নাম পাল্টিয়ে, পুরুষের বেশ ধারণ করে আলেকজেন্দ্রীয় চিকিৎসা বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন।সেই সময়কার বিখ্যাত চিকিৎসা বিশারদ  হিরোফিলাস (Herophilus) এর অধীনে চিকিৎসাবিদ্যা গ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে সত্যটা কেউ ধরতে পারে নি।হাইজিনাস (Hyginus) লিখেছেন আগ্নোদিচে গ্রীকের এথেন্সে জন্ম নিয়েছিলেন।একবার এথেন্সে পথে হাঁটতে হাঁটতে জানতে পারেন এক গর্ভবতী মায়ের প্রসব বেদনা উঠেছে।তিনি গেলেন সেখানে। নারী তার প্রসব কোন পুরুষকে দিয়ে করাতে চাইছিলেন না।আগ্নোদিচি তখন সব খুলে বললেন।প্রাচীন গ্রীকের একটি ট্যাবু ভেঙে এই মহীয়সী নারী আগ্নোদিচি হলেন গ্রীকের প্রথম নারী চিকিৎসক। 

First female midwife in greek


Previous Post Next Post