প্রকৃতিতে প্রাপ্ত বিভিন্ন ধরনের পাথর


 রং, আকার, গঠন ও উপাদানের ভিন্নতায় পাথর (Stone) বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।যেমন, গ্রাফাইট,মার্বেল, স্যান্ডস্টোন,স্লেট স্টোন ইত্যাদি। 


গ্রাফাইট স্টোন: গ্রাফাইট পাথর খনিজ ও আগ্নেয়গিরির রুপান্তরিত ক্রিস্টাল। কার্বন উচ্চ চাপে ও তাপে গ্রাফাইটে রুপান্তরিত হয়।গ্রানাইটের  কঠিনতম রুপ হলো ডায়মন্ড। গ্রাফাইট তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী। ইলেকট্রোড, লুব্রিক্যান্ট, পেনসিল তৈরিতে গ্রাফাইট ব্যবহার হয়।


মার্বেল স্টোন: মার্বেল এক ধরনের রুপান্তরিত শিলা।খনিজ কার্বনেটের স্ফটিক। মার্বেল ক্যালসাইট বা ডলোমাইট দিয়ে তৈরি। মার্বেলকে চুনাপাথর বলা হয়।মার্বেলের রঙের উপর  মূল্য নির্ধারিত হয়।কিছু মার্বেল চকচকে, উজ্জ্বল বাড়ি-ঘর ডেকোরেশন করতে ব্যবহার হয়।মার্বেল দালান-কোটা, রাস্তা তৈরিতে ব্যবহার হয়।


স্যান্ড স্টোন:  স্যান্ডস্টোন বা বেলে পাথর ২০-২৫% পাললিক শিলা দিয়ে গঠিত যাতে ০.০৬২৫ হতে ২ মিমি আকারের সিলিকেট দিয়ে গঠিত।  গ্লাস, টিভি স্ক্রীন, বাড়ি-ঘর তৈরিতে, ফার্নেস, কম্পিউটার চিপস তৈরিতে স্যান্ডস্টোন ব্যবহার হয়।

স্লেট স্টোন:  কাঁদা-মাটি ও আগ্নেয়গিরির ছাই দিয়ে গঠিত শেল টাইপ পাললিক শিলা।সূক্ষ দানাযুক্ত ফলিত রুপান্তরিত শিলা। টেবিল, ঘর-বারান্দা, বাগান, ডেকোরেশন  ইত্যাদি সেক্টরে ব্যবহার করা হয়। 


পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান পাথর

হিরা (Diamond) , পান্না (Emerald) নীলকান্তমণি (Sapphire) ও রুবি(Rubh) এসকল মূল্যবান পাথরকে রত্ন পাথর (Gemstone) বলা হয়।লাল,নীল,সবুজ,হলুদ, গোলাপী ও বেগুনি রঙের হীরা পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে দামী নীল রঙের হীরা।উত্তর দক্ষিণ আমেরিকার কলোম্বিয়াতে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পান্না পাওয়া যায়।পান্না সাধারণত সবুজ রঙের হয়। নীলকান্তমণি সাধারণত নীল রঙের হয়।লাল ব্যতীত অন্য রঙের হতে পারে। কাশ্মীর, বার্মা, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানে নীলকান্তমণি পাওয়া যায়।  রুবি পাথর উজ্জ্বল গাঢ় লাল ও হালকা বেগুনি লাল রঙের হয়।সবচেয়ে বেশি রুবি পাথর পাওয়া যায় মায়ানমারের বার্মাতে।এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, ভারতে রুবি পাথর পাওয়া যায়। 


রত্ন পাথর


Previous Post Next Post