ঘোড়া

ঘোড়া ( Horse) পোষ্য প্রাণী। এক সময়ে এই প্রাণীটি বন্যপ্রাণী হিসেবে ছিল। মানুষ একে তার প্রয়োজনে পোষ মানিয়েছে। কারণ এই প্রাণীটি মানুষের বহু উপকারে আসে। ভার বহন ও যাত্রী বহনে একসময় ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করা হতো। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও প্রাচীন ভারতে যুদ্ধক্ষেত্রে ঘোড়ার ব্যবহার ছিল । ঘোড়া শক্তিশালী এবং এর রোগ কম হয়। খুব দ্রুত এরা দৌড়াতে পারে। ঘোড়া নিয়ে বাংলা ভাষায় কিছু প্রবাদ বাক্য রয়েছে। যেমন গরিবের ঘোড়া রোগ, ঘোড়ার ঘাস কাটা ইত্যাদি। 

ঘোড়া কি বিপদ বোঝার ক্ষমতা রাখে? 

ঘোড়ার কি দৈবশক্তি রয়েছে? ঘোড়া কি  বিপদ আচ করতে পারে?  উত্তর হলো হ্যাঁ পারে। ঘোড়ার মানসিক শক্তি , ঘ্রাণ শক্তি ও দৃষ্টি শক্তি প্রবল। তাই ঘোড়াদের আশেপাশে কোন বিপদ ওঁৎ  পেতে থাকলে খুব সহজেই বুঝতে পারে। থেমে যায় অথবা দৌড়ে পালায় অথবা  এক ধরনের শব্দ করতে থাকে। 

ঘোড়ার কি রোগ হয় না? 

 আগেই বলেছি ঘোড়ার শক্তিশালী প্রাণী। সাপে কাটলেও ঘোরার মৃত্যু হয় না। সাপের বিষ যখন ঘোড়ার শরীরে প্রবেশ করে তখন ন্যাচারালি  ওই বিষের বিরুদ্ধে এন্টিবায়োটিক তৈরি করে ফেলে ঘোড়া তার শরীরের মধ্যে। ফলে একসময় ওই বিষ কে নিষ্ক্রিয় রোগ করে খেলে। অথচ একটি হাতিকে যদি সাপে কাটে তাহলে সে হাতি অসুস্থ হয়ে মারা যেতে পারে। সাধারণত  ঘোড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকলেও  ভাইরাস বা অন্যান্য সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়।


ঘোড়া কি বিপদ বুঝতে পারে


Previous Post Next Post