লুঙ্গির উৎপত্তি
লুঙ্গির উৎপত্তি যে বঙ্গদেশে তা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার ও ইন্দোনেশিয়ার মানুষ লুঙ্গি পরিধান করে।পৃথিবীর যেসব দেশে তীব্র গরম অনুভূত সেসব দেশে লুঙ্গি বা লুঙ্গি জাতীয় পোশাক পরিধান করা হয়।
লুঙ্গির বিভিন্ন নাম
সাধারণ বাংলাদেশের লুঙ্গি ৫ হাত হয়ে থাকে।কেরেলায় লুঙ্গিকে মুন্ডু, কাসাভু ইত্যাদি নামের ডাকা হয়। সাদা নকশাবিহীন লুঙ্গিকে মুন্ডু ও নকশা করা রঙিন লুঙ্গিকে কাসাভু বলা হয়।
ভারতের কর্ণাটকে সাদা লুঙ্গিকে পাঞ্চে ও রঙিন লুঙ্গিকে মুন্ডা বলে। তামিল প্রদেশে সারং বা চারাং ও কাইলি নামে ডাকা হয়।
মিয়ানমারে লুঙ্গিকে লোঙ্গাই নামে ডাকা হয়।
যে-সব দেশের নারীরা লুঙ্গি পরিধান করে
বাঙালী নারীদের মধ্যে লুঙ্গি পরার সংস্কৃতি নেই। বাঙালী নারীরা ছায়া পরেন। যা অনেকটা লুঙ্গির মত। তবে বাংলায় পাহাড়ি তথা উপজাতি নারীদের অনেকে লুঙ্গি জাতীয় পোশাক পরিধান করে যা থামি নামে পরিচিত।
মিয়ানমারের নারীরা যে লুঙ্গি পরিধান করে তাকে তামাইন বলা হয়।
ভারতের দক্ষিণ অঞ্চলের কিছু রাজ্যের নারীরা পুরুষের মত লুঙ্গি পরিধান করে। বিশেষকরে কর্ণাটক ও কেরেলার নারীদের লুঙ্গি পরতে দেখা যায়। দিনমজুর বা খেটে-খাওয়া নারীরা সাধারণত পুরুষের মত লুঙ্গি পরিধান করে।