সৃষ্টিকর্তা সত্য নাকি মিথ্যা 

পৃথিবীর বেশিরভাগ লোক সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করে।যদিও বিশ্বাস করে তবুও তারা সৃষ্টিকর্তার বিধিনিষেধ মানতে  অনাগ্রহী। বেশিরভাগ লোক ধর্মকে শুধু বিশ্বাসের মধ্যে রাখতে চায়।যাইহোক আমরা আজকে আলোচনা করব আল্লাহ যে আছে তার প্রমাণ কী?

সত্যি কথা বলতে কি আল্লাহ আছে এর প্রমাণ দেয়া সম্ভব নয়। আবার আল্লাহ যে নেই সেটার প্রমাণ দেয়াও সম্ভব নয়। 

কারণ সৃষ্টিকর্তা শুধু তার সৃষ্টির নিদর্শন দিয়েছেন তাকে স্পষ্ট প্রমাণ করা যায় এমন কোন ফর্মুলা তিনি দেননি। আস্তিকেরা বলে সৃষ্টিকর্তা যদি না থাকে তাহলে এত সুশৃঙ্খলভাবে পৃথিবী সৃষ্টি হলো কিভাবে?নাস্তিকরা বলে এই মহাবিশ্ব শুরুতে এত সুশৃঙ্খল ছিলো না।ধীরে ধীরে মহাবিশ্ব সুশৃঙ্খল হয়েছে।এবং বিবর্তনের ফলে এই মহাবিশ্ব আজকের রুপ পেয়েছে। 

 উভয় বিশ্বাসীদের কিছু যুক্তি আছে।কিন্তু উভয়ের নিকট কোন প্রমাণ নেই।

এভাবে বিতর্ক হাজার বছর ধরে চলতে পারে।অথচ আমরা কোন সমাধানে আসতে পারবো না। আসার দরকার নেই বলে মনে হয়।কারণ বিশ্বাস আসে নিজ মগজ থেকে কারর ভয়ে নয়।বিশ্বাস আসে ভালবাসা ভালো লাগা থেকে কারর জোর জবরদস্তিতে  নয়।

অথচ দেখুন সমাজে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দ্বন্দ্ব প্রকট হচ্ছে। উভয় উভয়ের দিকে তেড়ে আসছে।কিন্তু এভাবে তো শান্তি আনা যায় না।আমার বিশ্বাস সঠিক বা আমার আদর্শ, আমার ধর্ম আমাকে নৈতিক শিক্ষা দেয় তা প্রমাণ হবে আমার কর্মে।আমার উদারতা প্রমাণ করবে আমার ধর্ম আমাকে ভালবাসা শেখায়।আমার সততা প্রমাণ করবে আমার ধর্ম আমাদের বোধ তৈরি করে দেয়।

যেহেতু সৃষ্টি কর্তার অস্তিত্ব প্রমাণে কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই তাই বিশ্বাসী ধার্মিকদের উচিত হবে সততা,উদারতা,উত্তম আচরণ ও দেশ প্রেমের  মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার প্রমাণ দেয়া।


মানুষের মন বুঝতে হবে ধার্মিকদের।একজন মানুষ কেন নাস্তিক হয়? আস্তিকদের খারাপ  আচরণ দেখে তারা ধর্ম সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করে।একজন টুপি দাড়িওয়ালা লোক যখন অন্যায় করে তখন লোকটি যতটুকু সমালোচিত হয় তার চেয়ে বেশি সমালোচিত হয় তার টুপি দাড়ি ও ধর্ম।

তাই ধর্ম যে আমাদের উত্তম আদর্শ তৈরি করে দেয়, বা সৃষ্টিকর্তা যে সঠিক তা বিশ্বাসীদের প্রমাণ করতে হবে স্বদেশ প্রেম, মানবতা ও উদারতার মাধ্যমে। 

proof of God


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন