Mbdjobs is a Bengali educational website for Students,bd jobs seeker.best jobs preparation website.

১৭/০৯/২০২২

অনুজীব উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্পর্কে

 জীবন তত্ত্বের উপজীব্য

জীবাণু (Microbe) শব্দটা প্রথম চয়ন করেন ফরাসী শলা চিকিৎসক সেদিত্ত (Sedillot), ১৮৭৮ খ্রীষ্টাব্দে। জীবাণু, বলতে তিনি বোঝান, এমনসব ছোট উদ্ভিদ ও প্রাণীদের, যাদের প্রত্যেককে পৃথকভাবে দেখবার জন্য প্রয়োজন হয় মাইক্রোসকোপের। অনেকে জীবাণুকে বলেন অণুজীব (micro-organism)। জীবাণু (Microbe) ও অণু-জীব সমার্থক। জীবতত্ত্বে সেই সব জীবাণুদের কথা অধিক আলোচনা করা হয়, যাদের সাধারণত স্থাপন

করা হয় উদ্ভিদ রাজ্যে (Plant kingdom)। এককোষী প্রাণীদের কথা প্রধানত

আলোচনা করে প্রোটো জোলজিস্টরা (Proto Zoologists)।


উদ্ভিদ ও প্রাণী

সেই সব জীবাণুকে সাধারণত উদ্ভিদ রাজ্যে স্থাপন করা হয়, যাদের কোষে শক্ত কোষপ্রাচীর থাকে। শক্ত কোষপ্রাচীর থাকবার জন্য এরা কণিকা- আকারে খাদ্যবস্তু গ্রহণ করতে পারে না। গ্রহণ করে গাছের শিকড়ের মত পানিতে দ্রবীভূত (dissolved) অবস্থায় কিছু জীবাণু আছে, যাদের দেহে ঠিক শক্ত কোষপ্রাচীর (cell wall) নেই। কিন্তু তাদের কোষে থাকে ক্লোরোফিল। এরা অনেকেই পানিতে সাঁতার কেটে চলতে পারে। আর কণিকা আকারেও খাদ্যবস্তু গ্রহণ করতে পারে। এ ধরনের জীবকে উদ্ভিদবিদরা স্থাপন করেন

উদ্ভিদ রাজ্যে ও প্রাণীবিদরা স্থাপন করেন প্রাণী রাজ্যে (Animal kingdom)।

অনেকে মনে করেন এরা হলো খুবই আদিম ঐতিহ্যবাহী জীব। এদের থেকেই উদ্ভব হয়েছে উন্নত প্রাণী ও উদ্ভিদ জগত।

প্রোক্যারিওটা ও ইউক্যারিওটা

কোষের সংগঠন অননুসারে উদ্ভিদ জাতিকে দুটি উপ-রাজ্যে (Sub-king.doms) ভাগ করা চলে। একটি উপ-রাজাকে বলে প্রোক্যারিওটা (Procaryota)

আর অন্য উপ-রাজ্যটিকে বলা হয় ইউক্যারিওটা (Eucaryota) প্রোক্যারিয়টদের কোষের

গঠন, ইউক্যারিওটদের চাইতে অনেক সরল। প্রোক্যারিয়টদের কোষ কেন্দ্রের

কোন কোষ-আবরণ থাকে না। কোষ-কেন্দ্রের মধ্যে কোন নিউক্লিওলাস


 (nucleolus) থাকে না। এদের কোষে মাইটোকনড্রিয়া (mitochondria) এবং উন্নত উদ্ভিদের মত প্লাসটিভ থাকে না। অন্যদিকে ইউক্যারিয়টদের কোষে প্রকৃত

সংগঠিত কোষকেন্দ্ৰ (true nucleus) থাকে। কোষ-কেন্দ্রে নিউক্লিয়াস থাকে। সাইটোপ্লাজমে মাইটোকনড্রিয়া ও প্লাসটিড থাকতে পারে। প্রোক্যারিওটা ও ইউক্যারিওটা শব্দ দুটি চয়ন করেন স্যাটন (Chatton), ১৯৩০ সালে।

প্রোক্যারিওটাদের দলে পড়ে ব্যাকটিরিয়া (bacteria) ও নীল-সবুজ শৈবাল

( Blue Green Alage)। আর অন্যান্য সর্বপ্রকার উদ্ভিদ ইউক্যারিওটা উপ-রাজ্যভুক্ত। প্রোক্যারিয়ট উদ্ভিদ জীবাণু তত্ত্বের প্রধান আলোচ্য। এর মধ্যে

ব্যাকটিরিয়া প্রায় সর্বাপেক্ষা অধিক গুরুত্ব। যে সব ইউক্যারিয়ট উদ্ভিদের কথা জীবাণুতত্বে কিছু কিছু আলোচনা করা হয়, তাদের পাঁচটি বড় বিভাগে

(divisions) বিভক্ত করা চলে। এরা হলো :

(১) ক্লোরোফাইটা (Chlorophyta) বা সবুজ শৈবাল ;

(২) ক্রাইসোফাইটা (Chrysophyta) বা সোনালী হলুদ শৈবাল

(৩) ইউগ্লেনোফাইটা (Euglenophyta) বা ইউগ্লেনা ;

(৪) পাইরোফাইটা (Pyrophyta) বা ডাইনেফ্লাজেলেট। এবং

(৫) ইউমাইকোফাইটা (Eumycophyta) বা ছত্রাক