গমের অতীত বর্তমান 


খাদ্য হিসাবে  বাংলায় গমের ব্যবহার বহু পুরনো। প্রাচীন বাংলায় ও সংস্কৃত ভাষায় গমকে "গোধূম" বলা হতো। আর গমের আটাকে বলা হয় "গোধূম চূর্ণ"। ফারসিতে গমকে বলে গন্ধূম আর সংস্কৃত শব্দ চূর্ণ থেকে নাকি গোধূম চূর্ণ হয়েছে। যাইহোক গমের আটার ব্যবহার শুরু করে মুসলিমরা। 

তবে হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থ ঋগ্বেদে যব ও গোধূম শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়।  চৈনিক পরিব্রাজক মু হুয়ানের লেখায় ভারত বাংলার গমের ব্যপক চাষের কথা আছে।

শুধু তাই নয় " অন্নদামঙ্গল কাব্য ও ধর্মমঙ্গলে গমের উল্লেখ আছে। যাইহোক গম থেকে তৈরি হয় মূলত রুটি। একসময় আম কাঠালের সময় গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে গমের রুটি বানানো হতো। এখন বাজার থেকে ময়দ কিনে রুটি বানায় লোকে।কারণ গমের চাষ কমে গেছে। গমের জায়গা দখল করেছে ভুট্টা। আমার বাপ-দাদাদের দেখেছি গম চাষ করতে।এখন ভুট্টা চাষ করে।কারণ গমের চেয়ে ভুট্টার ফলন বেশি। ঝামেলা কম।তাছাড়া কৃষি জমি কমে যাওয়াতে শুধু কম নয় আরো অনেক ফসলের চাষাবাদ কমে গেছে। একসময় হয়ত যব, খেঁসারি, অড়হড় এর মত গম হারিয়ে যাবে।

হারিয়ে যাওয়া গম


Previous Post Next Post