টারবাইন এর ইতিহাস 

প্রায় ২০০০ বছর পূর্বে গ্রীকে ওয়াটার হুইল ব্যবহার হতো।ওয়াটার হুইলকে নদীর স্রোতে ঘুরিয়ে মোশন তৈরি করে তা টেক্সটাইল, মিল ও কারখানায় ব্যবহার করা হতো।

১৮৪৯ সালে জেমস ফ্রান্সিস প্রথম আধুনিক টারবাইন তৈরি করেন যা হাইড্রোপাওয়ার প্লান্টে ব্যবহার করা হয়।পৃথিবীর বড় বড় জল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফ্রান্সিস টারবাইন ব্যবহার করা হয়। 


টারবাইন এর প্রকারভেদ 

টারবাইন মূলত দুই প্রকার 

১. ইম্পালস টারবাইন 

২. রিয়াকশন টারবাইন 


ইম্পালস টারবাইন: 

ইম্পালস টারবাইনে পানির বেগকে (velocity) কাজে লাগিয়ে টারবাইনের রানার ঘুরানো হয় এবং পানি বায়ুমন্ডলীয় চাপে ডিসচার্জ হয়ে যায়। ইম্পালস টারবাইনে যেহেতু পানির বেগ বেশি লাগে তাই হাই হেড ও লো ফ্লো কন্ডিশনে কাজ করে। ইম্পালস টারবাইন দু প্রকার।


ক. পেল্টন টারবাইন 

খ. ক্রোস ফ্লো টারবাইন 


পেল্টন টারবাইন: ১৮৭০ সালে আমেরিকান আবিস্কারক লেস্টার অ্যালেন পেল্টন এই টারবাইন আবিষ্কার করে।  পেলটন টারবাইন উঁচু হেড ও কম ওয়াটার ফ্লোতে কাজ করে।অর্থাৎ  পানির বেগ হতে হবে বেশি কিন্তু পানির পরিমাণ কম হলেও চলবে। এধরনের টারবাইনের দক্ষতা ৯৫% পর্যন্ত হতে পারে। 

ক্রোস ফ্লো টারবাইন : ১৯ শতকে অস্ট্রিয়ান আবিষ্কারক অ্যান্থনি মিশেল প্রথম ক্রোস ফ্লো টারবাইন এর ডিজাইন করে।পরবর্তীতে এটাকে আধুনিক করা হয়।


রিয়াকশন টারবাইন 

রিয়্যাকশন টারবাইন মূলত পানির চাপ ও পানি প্রবাহের সম্মিলিত শক্তিতে কাজ করে। রিয়্যাকশন টারবাইনে কম হেড কিন্তু বেশি ফ্লো এর প্রয়োজন হয়।কয়েকটি রিয়্যাকশন টারবাইনের নাম দেয়া হলো।


১. ফ্রান্সিস টারবাইন:

ফ্রান্সিস টারবাইন প্রথম ও আধুনিক হাইড্রো টারবাইন যা আমেরিকান আবিস্কারক জেমস ফ্রান্সিস ১৮৪৯ সালে আবিষ্কার করেন। ফ্রান্সিস টারবাইনের রানারে নয় বা তার বেশি সংখ্যক ব্লেড ব্যবহার করা হয়। ফ্রান্সিস টারবাইন ১৩০ থেকে ২০০০ ফুট হেডে কাজ করে। ফ্রান্সিস টারবাইনের দক্ষতা ৯০ শতাংশ এর উপরে (৯২-৯৫%)।



২. কাপলান টারবাইন:

১৯১৯ সালে অস্ট্রিয়ান আবিষ্কারক ভিক্টর কাপলান কাপলান টারবাইন আবিষ্কার করেন। কাপলান টারবাইন এর দক্ষতা ৯৫% পর্যন্ত হতে পারে।  কাপ্তাই হাইড্রো পাওয়ার প্লান্টে কাপলান টারবাইন ব্যবহার করা হয়েছে। 


৩. কাইনেটিক টারবাইন 

পানির পটেনশিয়াল এনার্জিকে কৃত্রিমভাবে কাইনেটিক এনার্জিতে রুপান্তর করে এই টারবাইন ঘুরানো হয়। নদীর স্রোত, মানুষের তৈরি পানি প্রবাহের সরু চ্যানেল তৈরি করে কাইনেটিক টারবাইন ঘুরানো হয়। 


৪. প্রপেলার টারবাইন 

প্রোপেলার টারবাইন তিন থেকে ছয়টি ব্লেড ব্যবহার হয়। এই টারবাইন   তিন প্রকারের হয়ে থাকে যথা

ক. বাল্ব টারবাইন 

খ. স্ট্রাফলো টারবাইন 

গ. টিউব টারবাইন 


Previous Post Next Post