কস্তুরী


হিমালয়ের পাদদেশে কস্তুরী জন্মালেও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এর চারটি প্রজাতি পাওয়া যায় । ইংরেজী নাম লার্কম্পার কিন্তু হিমালয়ের পাদদেশে গারুয়াল অঞ্চলে এটি কস্তুরী ফুল নামে পরিচিত। এটি রেনানকুলেসী গোত্রের । বৈজ্ঞানিক নাম ডেলফিনিয়াম ব্রুনোনিয়ে নাম (Delphinium brunonianum)। ডেলফিনিয়ামের অন্যান্য বিষাক্ত প্রজাতিগুলি হলো – কেইরুলিয়াম, ইলেটাম, ভেস্টিটোম। এর গোত্র রেনানকুলেসী। কস্তুরী এক বা বহুবর্ষজীবী বেশ উল্লম্ব বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ । গ্রীক শব্দ ডেম্ফিনস্ কথাব অর্থ ডলফিন থেকে এ নামটি এসেছে। কারণ ফুলের গঠনের সহিত ডলফিনের সাদৃশ্য বিদ্যমান। ঠান্ডার সময় বহু বাগানে এগাছটি চাষ করা হয় । ফুলগুলি অসমান। বেগুনী, নীল অথবা সাদা । বৃতি পাঁচটি পেছনের দিকে স্পার যুক্ত, পাপড়ি ২-৪ টি ছোট্ট, দুটি পার্শ্বীয় । পুংকেশর অনেকগুলি, ফল ফলিক্যল জাতীয়, বহুবীজ ধারণকারী । বীজের বহিরাবরণ কুঞ্চিত । 


কস্তুরি গাছের বিষাক্ত রাসায়নিক

একোনিটিনের কাছাকাছি এলকালয়েড এ গাছে পাওয়া যায় । এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এজাসিন, এজাকোনাইন, ডেলফিনাইন, ডেলকোসিন, ডেলফিয়াডিন, ডেলসোলিন, ডেলটালিন, ডেলফিসিন, স্টেফিসাগ্রোইন ইত্যাদি । বীজের মধ্যে সর্বাধিক ডেলফিনাইন পাওয়া যায় এবং শুষ্ক ওজনের এটি প্রায় ১.৩ শতাংশ । 


কাশ্মীরের লে অঞ্চলে ডেলফিনিয়াম ব্রায়োনোনিয়েনাম কম্ভরী বিষ

Previous Post Next Post