হ্যামলগ গাছের বিষক্রিয়া 


মনিষী সক্রেটিসের মৃত্যু কথিত আছে এক গ্লাস হ্যামলগ বিষ পানে ঘটেছিল। কি সেই হ্যামলগ সেটা অনেকের কাছেই অজানা । হ্যামলগ ছাড়াও তার কাছাকাছি বিষাক্ত গাছ রয়েছে এবং তারা সবাই এপিয়েসী গোত্রের অন্তর্গত । আমাদের সবারই পরিচিত এই গোত্রের গাছ খাবার মুখশুদ্ধির মশলা বা রান্নার মশলা হিসাবে ব্যবহৃত যেমন- জিরা, মৌরী, ধনে ইত্যাদি । এই গোত্রেরই অপর গাছ গাজর যা আমরা খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করি। তাতেও রয়েছে বিষাক্ত পলিয়েনক্যারাটপসিন। একমাত্র কম পরিমানে ব্যবহৃত হয় বলেই তাদের বিষাক্ত প্রভাব মানুষের উপর ক্রিয়াশীল হয় না । এ ছাড়া এই গোত্রের বহু গাছে ফোরানোকোমারীন থাকে যা বিষের জন্য বিখ্যাত ।


যেহেতু এই সব গাছে উদ্বায়ী তৈল বিদ্যমান এবং যেহেতু দীর্ঘদিন রেখে দিলে রাসায়নিক পদার্থের পরিমান হ্রাস পায় এই জন্য একমাত্র সবুজ গাছ খেলেই বিষাক্ততার লক্ষণ দেখা দিতে পারে ।


হ্যামলগ ইংরেজী নাম হলেও তার বৈজ্ঞানিক নাম কোনিয়াম ম্যাকুলেটাম (Conium maculatum) গোত্র এপিয়েসী । গাছগুলি ১-৩ মিটার লম্বা, সাধারণত এক বর্ষজীবী, কান্ড নলাকার, পর্বমধ্য নিরেট ও স্ফীত এবং কান্ডের গায়ে ফ্যাকাসে লাল অসংখ্য দাগ বিদ্যমান । পাতা ধনে পাতার ন্যায় এবং পুষ্পবিন্যাস ছত্রমঞ্জরী জাতীয় । ফুল সাধারণত সাদা এবং ফলের গায়ে উঁচু নীচু খাঁজ থাকে যা দেখতে মৌরীর ন্যায় ।


হ্যামলগের  বিষাক্ত রাসায়নিক


বিশেষ ধরণের পাইপারিডিন অ্যালকালয়েড কোনাইন উদ্ভিদের সমস্ত অঙ্গে বিস্তৃত। এছাড়া রয়েছে মিথাইল কোনাইন, গামা - কোনিসেন, কোনহাইড্রাইন ইত্যাদি । এদের অনুপাত সম্পূর্ণ উদ্ভিদে ৩.৫% পর্যন্ত থাকতে পারে 

সক্রেটিস মৃত্যু ও হ্যামলগ


Previous Post Next Post