এসি ফ্রীজে গ্যাসের ব্যবহার অতীত ও বর্তমান 

১৮৩৪ সালে প্রথম ভেপার কম্প্রেশন রেফ্রিজারেশন সিস্টেম চালু হয়।১৮৫৪ সালে তৈরি হয় বরফ তৈরির মেশিন।১৯১৩ সালে আমেরিকান আবিস্কারক ফ্রেড ডব্লিউ উল্ফ  গৃহস্থালী ফ্রিজ তৈরি করে।১৯১৮ সাল থেকে বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়।আজ আমরা জানবো ফ্রীজ, এসি বা রেফ্রিজারেটরে কোন কোন গ্যাস ব্যবহার করা হতো আর বর্তমানে কোন ধরনের গ্যাস রেফ্রিজারেটরে ব্যবহার করা হয়। 

প্রথম রেফ্রিজারেটর গ্যাস 

১৮৫৯ সালে ফ্রান্সের বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড তুসাইন্ট প্রথম ভেপার এবজরপশন রেফ্রিজারেশন সিস্টেমে অ্যামোনিয়া গ্যাস ব্যবহার করেন। ১৯৬০ সালে তিনি প্যাটেন্ট নেন।

কবে থেকে সিফসি গ্যাস উৎপাদন বন্ধ হয়?

১৯৭০ সালে আমেরিকান রসায়নবিদ এফ. শেরওড রউলেন্ড এবং মারিও মোলিনা তাত্ত্বিকভাবে প্রমাণ করেন যে CFC গ্যাস বা  ক্লোরোফ্লোরো কার্বন সূর্যের ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে পৃথিবীকে রক্ষাকারী ওজোনস্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী। ১৯৭৪ সালে তাদের এই গবেষণা দি নেচার পত্রিকায় প্রকাশ হয়।এরপর থেকে বিশ্ব নড়েচড়ে বসে। ১৯৮৫ সালে এ বিষয়ে গবেষণার জন্য তারা নোবেল পুরষ্কার পান। উন্নত দেশগুলো ১৯৯৪ সাল থেকে হ্যালন গ্যাস ও ১৯৯৬ সাল থেকে সিএফসি গ্যাস উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধ করে।সিএফসি ছাড়াও মিথাইল ক্লোরোফর্ম HBFC নিষিদ্ধ হয়। মিথাইল ব্রোমাইড বাদ পড়ে ২০০৫ সাল থেকে। এবং ২০৩০ সালের মধ্যে  HCFC বা হাইড্রোক্লোরোফ্লোরো কার্বন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হবে।

ভারত সরকার  ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে সিএফসি আমাদানি নিষিদ্ধ করে। 


রেফ্রিজারেটর গ্যাস অতীত থেকে বর্তমান
প্রাচীনকালের ফ্রীজ ছবিসূত্র: গুগল



বাংলাদেশে সিএফসি গ্যাস নিষিদ্ধ হয় কবে?

বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর ২০১০ সালে সিএফসি,সিটিসি, মিথাইল ব্রোমাইড, হ্যালনস নিষিদ্ধ করে।২০১২  সালে সিএফসি পুরোপুরি বাজেয়াপ্ত ও নিষিদ্ধ করে।


বর্তমানে রেফ্রিজারেটর বা এয়ার কন্ডিশনে যে গ্যাস ব্যবহার করা হয়। 

বর্তমানে বেশিরভাগ রেফ্রিজারেটর, এসি,ফ্রীজে টেট্রাফ্লোরোইথেন বা নরফ্লুরেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।এবং ফ্রেয়ন (Freon R-134a) গৃহস্থালি রেফ্রিজারেটরে ব্যবহার করা হয়।



Previous Post Next Post