Mbdjobs is a Bengali educational website for Students,bd jobs seeker.best jobs preparation website.

১৪/০৫/২০২৩

উপকূলে অঞ্চল লবনের হুমকিতে

লবন পানির প্রকোপ


দিন দিন উপকূল অঞ্চলে লবন পানির প্রকোপ বেড়েই চলেছে। বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে সাগরে লবনাক্ত পানি সমতলে ঢুকে কৃষি জমি ও জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলেছে। এক প্রতিবেদনে দেখা যায় বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চলের ১৮ জেলার ৯৩ টি উপজেলার  ১০.৫৬ হেক্টর জমি লবণাক্ত কবলিত।  রিভার স্যালাইনিটি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাভিডেন্স ফ্রম কোস্টাল বাংলাদেশ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯ জেলা ও ১৪৮ থানার মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত লবনের প্রকোপ দেখা দেবে।যেখানে বর্তমানে লবন আছে ১০ পিপিটি সেখানে ২০৫০ সালের মধ্যে বেড়ে দাঁড়াবে ১৫ পিপিটি।এ অঞ্চলের অন্তত ১০ টি নদী লবনাক্ত হবে।

মাটিতে লবনের পরিমাণ 

যদি মাটিতে সোডিয়াম, ক্লোরিন অ্যনায়ন, বাইকার্বনেট, সালফেট, ম্যাগনেশিয়াম ক্যাটায়ন ও ক্যালসিয়াম অধিক পরিমাণে থাকে তাকে লবনাক্ত  মাটি বলে।যদি মাটিতে ২ ডেসিসিমেন/মিটার উপরিউক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া যায় তাকে লবনাক্ততা বলে আর যদি ০.৭৫ ডেসিসিমেন/মিটার উপস্থিতি তাকে তাকে লবনাক্ত মাটি বলে।


লবনাক্ত মাটিতে ফসল না হওয়ার কারণ 

১.  মাটিতে লবন থাকলে উদ্ভিদ নাইট্রোজেন গ্রহণ করতে পারে না।প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে যায়।গাছের বৃদ্ধি কমে যায়। ফসল ভালো হয় না।একসময় মারা যায়।

২. ক্লোরিন আয়ন পানির স্বাদ কমিয়ে দেয়।সোডিয়ামের কারণে  মাটির ক্ষয় বৃদ্ধি পায়।মাটি উর্বরতা হারায়।

লবনাক্ত জমিতে ফসল চাষের পদ্ধতি

বাংলাদেশ মৃত্তিকা সম্পদ ইন্সটিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত কলস সেচ পদ্ধতি, খাবার পুকুর পদ্ধতি, দুই স্তর মালচিং পদ্ধতির মাধ্যমে লবনাক্ত জমিত ফসল চাষ করা যায়।


১৮৯৭ সালে লবনাক্ত পানির কারণ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। 

১৮৯৭ সালে সাতক্ষীরা মহকুমায় দুর্ভিক্ষের কারণ সম্বন্ধে তদানীন্তন কালেক্টব ডবলু এইচ. ভিনসেন্ট বলেছেন, এলাকার লোকেরা ছিল গরিব এবং অদূরদর্শী, জমিদাররা অনাবাসী এবং প্রজাদের ব্যাপারে খামখেয়ালী, প্রজারা গরিব এবং অক্ষম, স্থানীয় ভাবে ছোট ছোট ভেড়ি বাঁধ দিয়ে জমিকে লোনা পানির কবল থেকে রক্ষা করা হত। মেরামতের অভাবে এই বাঁধের মধ্য দিয়ে লোনা পানি ঢুকত। ক্রমান্বয়ে বাঁধের অবস্থার অবনতি হয়। এই সময় ১৮৯৬ সালে প্রবল ঝড়সহ জলোচ্ছ্বাসের ফলে এই এলাকা লোনা পানিতে নিমজ্জিত হয়। পানি নেমে গেলেও লবণ উপাদন মাটিতে এমনভাবে মিশে যায় সারা বছরের বর্ষায়ও তা ধুয়ে নিতে পারেনি। ঐ বছর বর্ষাও কম হয়। আমনের ফলন আশাতিরিক্ত কম হয়। আগের বছরের শস্য ঘাটতি এবং এ বছরের অজন্মা মিলে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করে।...” (খুলনা জেলা — মোঃ নুরুল ইসলাম। পূঃ ১২০)।