কাপড়ের দাগ তোলার সহজ পদ্ধতি

কিভাবে সহজ ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাপড়ের কঠিন কালো দাগ তুলবেন তা নিম্নে তুলে ধরা হলো। সহজ পদ্ধতিতে দাগ তোলার উপায় বিভিন্ন রূপ। 

ঘামের দাগ

কাপড়ে যদি ঘাম বা ঘামের কারণে সাধারণ দাগ লাগে তবে লেবুর রস প্রয়োগ করে দাগ তুলে ফেলা সম্ভব। লেবুর সাইট্রিক এসিড কাপড়ে সাথে বিশেষ ক্রিয়াই লেগে থাকা দাগের বন্ধন ভেঙে দেয় ফলে কাপড় হয় পরিস্কার ও উজ্জ্বল। শরীরে ঘামে পানি, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ল্যাকটেট, ইউরিয়া,অ্যামোনিয়া থাকে।

কাপড়ে ঝোলের দাগ লাগলে করনীয় 

কাপড়ে ঝোলের দাগ লাগলে সহজে উঠতে চায় না।সাবান দিয়ে তুলতে গেলে দেখা যায় ঝোলের সাথে সাবান বিক্রিয়া করে নতুন রং তৈরি করেছে।মূল তরকারি বা মাংসের ঝোল কাপড়ের রঙে সাথে বিক্রিয়া করে স্থায়ীভাবে আটকে যায়। এমতাবস্থায় গ্লিসারিন ব্যবহার করলে তরকারি বা মাংসের ঝোলের দাগ তোলা সম্ভব। 

কাপড়ে কালির দাগ লাগলে করনীয় 

জামা কাপড়ে কালি বা কলমের কালির দাগ লাগলে কালি কাপড়ে সাথে বিশেষ বিক্রি করে আটকে থাকে। এমতবস্থায় অনেকে ব্লিচিং ব্যবহার করে যা কাপড়কে নষ্ট করে দেয়। কলমের কালির দাগ তুলতে টুথপেষ্ট ব্যবহার করুন। কালিতে কার্বন থাকে।কার্বন ও রঙের বন্ধন ভেঙে দিতে সাহায্য করে টুথপেষ্ট। 


কাপড়ে রক্তের দাগ

কাপড়ে রক্তের দাগ লাগলে ভিনেগার ব্যবহার করতে হয়।ভিনেগার হলো এসিটিক এসিডের ৬-১০% পানির মিশ্রণ। 


কাপড়ে কফির দাগ লাগলে করনীয় 

কাপড়ে কফির দাগ লাগলে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে হয়।বেকিং সোডার রাসায়নিক সংকেত সোডিয়াম বাই-কার্বনেট (NaHCO3)। বেকিং সোডাকে খাবার সোডাও বলা হয়। প্রকৃতিতে এট নাকোলাইট হিসাবে থাকে। 

কাপড়ে পারফিউমের দাগ লাগলেও বেকিং সোডা ব্যবহার করা হয়। 

কাপড়ের কঠিন দাগ তোলার ঘরোয়া সহজ পদ্ধতি
দাগ তোলার পদ্ধতি 



Previous Post Next Post