বিভিন্ন ধরনের বাড়ি ঘর

ঢালু ছাদের ঘর (Sloping roofs): এক সময় পৃথিবীর বহুদেশে ঢালু ছাদের ঘরের প্রচলন ছিল।বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। এবং এমন অঞ্চলে যেখানে বহুতলবিশিষ্ট বাড়ি তৈরির প্রচলন নেই।ধীরে ধীরে ঢালু ছাদের ঘর নির্মান কমে গেছে। টিন খড় ও কাঁঠ বাশ দিয়ে ঢালু ছাদের ঘর বানানো হয়।পৃথিবীর যেসব অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত ও তুষার পাত হয় সেসব দেশ বা অঞ্চলে এখনো ঢালু ছাদের ঘরের প্রচলন রয়েছে। 

সমতল ছাদের ঘর (Flat roof House): শুধু শহর নয় গ্রামেও এখন সমতল বিশিষ্ট ছাদের ঘর তৈরি হচ্ছে। ইদ-পাথর ও সিমেন্ট-বালি দিয়ে তৈরি হয় এসকল বাড়ির ছাদ।বহুতল ভবনের জন্য সমতলবিশিষ্ট ছাদ বাধ্যতামূলক।

ইগলু (Igloo):  শীত প্রধান দেশ তথা তুষারপাত হয় এমন দেশে বরফ খন্ড (Ice Blocks)  দিয়ে রাউন্ড বা অর্থ বৃত্তাকার ছাদের ঘর বানানো হয়। এগুলোকে ইগলু বলে।কানাডার গ্রীনল্যান্ডে ইগলু ঘর দেখতে পাওয়া যায়। 


স্টিল্ট বাড়ি (Stilt House): নদীর পাশে অথবা ঘন ঘন বন্যা হয় এমন এলাকায় এ ধরনের ঘরে দেখতে পাওয়া যায়।দোতলা বিশিষ্ট বাড়ি বাঁশ-কাঁঠ দিয়ে তৈরি।চার চালা বিশিষ্ট ঢালু ছাদ।নিচতলায় কোন ঘর নেই।পোল, পিলার, কলাম-বীম দিয়ে তৈরি করে এ ধরনের বাড়ি-ঘর।

বোট হাউস (Boat House) : এক ধরনের ভাসমান ঘর।বড় নৌকার উপর কাঠ দিয়ে ঘর ও রাউন্ড ছাদ নির্মাণ করা  হয়।কাশ্মীর ও কেরেলায় এ ধরনের ঘর দেখতে পাওয়া যায়।


বিভিন্ন প্রকার বাড়ি-ঘর



ক্যারাভ্যান (Caravan):  চাকার উপর নির্মিত ঘর। এই ঘরগুলো স্থানান্তরিত করা যায়। যে বা যারা অল্প সময়ের জন্য কোথায় বাস করতে চায় বা ভ্রমণে যায় সেখানে এধরণের ঘর দেখতে পাওয়া যায়। যেমন ফিল্ম সিটিগুলোতে এধরণের ঘর দেখতে পাওয়া যায়। 


পাকা ঘর (Pucca House): এ ধরনের ঘরগুলো দক্ষিণ এশিয়াতে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। দেয়ালগুলো কংক্রিটের (ইট+বালি+সিমেন্ট) তৈরি। ঢালু ছাদ বিশিষ্ট। সাধারণত টালি দিয়ে ছাদ বানানো হয়।

কচ্ছা  ঘর (Kutcha House): মাটির দেয়াল ও খড়ের ছাদ বিশিষ্ট গোলাকৃতির ঘরকে কচ্ছা ঘর বলা হয়।এই ঘরগুলো অস্থায়ী। আফ্রিকার প্রত্যন্ত এলাকায় কচ্ছা দেখতে পাওয়া যায়।  অনেকটা গোলার মত।


কোর্টইয়ার্ড ঘর (courtyard): একটি নির্দিষ্ট জায়গার চারপাশ দিয়ে বহুকক্ষ বিশিষ্ট বাড়ি  নির্মান করে মাঝখানে খালি জায়গা রাখা হয়।অর্থাৎ ছোট -বড় উঠান রাখা হয়।উঠানে ফল-ফসল  শুকানো হয়।গাছ-পালা লাগানো হয়।বা মন্দির বানানো হয়।দক্ষিণ এশিয়া বিশেষ করে ভারতের দক্ষিণে এ ধরনের ঘর-বাড়ি দেখতে পাওয়া যায়। 

Previous Post Next Post