মানুষ জেনে-বুঝে কেন অপরাধ করে? 


এক মানুষের দুটি মন

দুটি হওয়ার দুটি কারণ 

এক ভালোতো আরেক মন্দ

ভালো আর খারাপে হয় দ্বন্দ্ব 


ধর্মে বিশ্বাসী হয়েও কেন পাপ করে?এ প্রশ্নের উত্তর কঠিন।সবকিছু শয়তানের উপর ছেড়ে দিলে অন্যায়কে এড়িয়ে যাওয়া হবে।মানুষ জানে যে সে অন্যায় করছে।জেনে-বুঝে অপরাধ করে শয়তানের উপর দোষ চাপানোটাও অন্যায়।

মানুষ ধর্ম চায় ।কিন্তু প্রয়োজনবাদ বা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লোভ তাকে পাপ কাজে উদ্ভুদ্ধ করে।ঘুষ খায় আবার নামজও পড়ে।সে জানে তাকে মরতে হবে।আল্লাহ বা ভগবানের কাছে জবাব দিতে হবে তবুও সে অন্যায় করে।

মানুষ অপরাধ করে আবার সে মানুষই অপরাধ বোধ করে।শৈশব কাটে বড়দের সম্মান করে।শিক্ষকের উপদেশ,মা-বাবার শাসন আর মূল্যবোধের বই পড়ে।সাংসারিক জীবনে আসার সাথে সাথে  অভাব কয়েকগুণ বেড়ে যায়।খারাপ মন তাকে প্রয়োজনবাদে উদ্ভুদ্ধ করে।স্ত্রীর-সন্তানের আবদার ও বিলাসিতা মানুষকে তার অতীত ভুলিয়ে দেয়।যে ছেলেটা তার পুরো শিক্ষা জীবন দেশপ্রেম আর মানব সেবা করবে বলে কাটিয়েছে সে কিনা আজ ঘুষখোর! বিত্তবান হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা একটি কারণ। আর আরেকটি কারণ মূর্খ সমাজের কাছে নিজের পদ ও অর্থের কারিশমা প্রদর্শন। মূর্খ সমাজ সেটা খায়।তাদের সম্মান করে, উৎসাহ দেয়। মানুষ তাকে সম্মান করে যে তার ক্ষমতা, অর্থ ও বিলাসিতা প্রদর্শন করে।এজন্যই লোকে ক্ষমতাবান হতে চায়।বিত্তবান হতে চায়।ঘুষখোর, অসাধু বাবাও তার সন্তানকে সৎপথে থাকার উপদেশ দেয়।ফলে সন্তান তার বাবাকে আদর্শবান বাবা বলে মনে করে।তাইতো বাবা দিবসে সব সন্তান তার বাবাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো বাবা বলে দাবি করে।অথচ এই বাবারা যে কত বাবার  অশান্তির কারণ তা বলা মুশকিল। স্ত্রী বা সন্তান বাবাদের উপদেশ দিতে পারে না।মাঝে মাঝে খরচের হিসাব নেয় কিন্তু আয়ের হিসাব নেয় না। মৃত্যু ভয় জেঁকে বসে। শেষ জীবনে বাবারা শান্ত হয়।ধার্মিক হয়।আমি বাবাদের উদাহরণ দিলাম এজন্য যে পৃথিবীর মারাত্মক সব অপরাধ এবং বেশির ভাগ অন্যায় কাজ পুরুষ তথা বাবাদের দ্বারা সংঘটিত হয়।

অপরাধ থেকে দূরে থাকার উপায় কী?

অন্যায়-অপরাধ, পাপাচার থেকে দূরে থাকার অন্যতম কার্যকরী উপায় হলো আত্মসমালোচনা করা।বিবেকের আয়নায় নিজেকে দাঁড় করিয়ে  নিজের সাথে কথা বলা।নিজের বিচার করা।



Previous Post Next Post