পথের দাবীর ইতিহাস 


 শরৎচন্দ্রের লেখা পথের দাবী বইটি ইংরেজ সরকার কর্তৃক  নিষিদ্ধ হয়। পথের দাবী ধারাবাহিক ভাবে বঙ্গবাণী পত্রিকায় বের হত। । ১৯২৬ সালের ১১ ডিসেম্বর এডভোকেট জেনারেল ব্রজেন্দ্রনাথ মিত্র মত দেন যে পথের দাবী দেশদ্রোহকর লেখা। ১৯২৭ এর ৪ জানুয়ারি প্রকাশিত গেজেটে পথের দাবী নিষিদ্ধ হয়। দেশ জুড়ে এই নিষিদ্ধকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছিল।শরৎচন্দ্র অনেক অনুনয়, বিনয় ও জনমত তৈরি করে তাতে লাভ হয় নি। শোনা যায় শরৎচন্দ্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অনুরোধ করেছিলেন বইটার নিষেধাক্কা তুলে নিতে সুপারিশ করার জন্য।তাতে লাভ হয় নি।রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা কি ছিল তা অস্পষ্ট। তখন অবিভক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন শেরে বাংলা একে ফজলুল হক। ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি লেখক শরৎচন্দ্রের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। বইটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলের নেয়ার জন্য অতুল চন্দ্র গুপ্ত দাবী তোলেন৷ ফজলুল হকের শাসনকালে বইটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।এবং দ্বিতীয় সংস্করণ ছাপানো হয়। উপমহাদেশে বই নিষিদ্ধ নতুন কিছু নয়। সবচেয়ে বেশি বই নিষিদ্ধ হয়েছে প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের।

কাজী নজরুল ইসলামের  যুগবাণী, ভাঙার গান, বিষের বাঁশি, চন্দ্রবিন্দু বইগুলো নিষিদ্ধ হয়। 





Previous Post Next Post