ডায়মন্ড বৃষ্টি

১৯৮১ সালে মার্কিন পদার্থবিদ মারভিন  রস প্রথম ধারণা করেন সূর্যের সবচেয়ে দূরের দুটি গ্রহ নেপচুন ও ইউরেনাসে হীরক বৃষ্টি হতে পারে। মারভিন রসের এই ধারণাটি ২০২০ সালে স্ট্যানফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষকদল প্রমাণ করেন যে ঐ দু'টি গ্রহে হীরক বৃষ্টি হয়। পরীক্ষাটি প্রমাণ করতে গবেষকদল নেপচুনের মত পরিবেশ তৈরি করেন গবেষণাগারে।তারা তরল হাইড্রোকার্বন পলিস্টাইরিনকে প্রচন্ডভাবে উত্তপ্ত করে এবং চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।সাথে লেজার রশ্মির মাধ্যমে শকওয়েভ প্রেরণ করেন।এর ফলে তারা দেখতে পেলেন পলিস্টাইরিন যৌগটি ভেঙে তার মৌলগুলো বের হয়ে আসছে।যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে কার্বন ও হাইড্রোজেন পরমাণু। আর কার্বন পরমাণুগুলো সৃষ্ট চাপের কারণে একত্রিত হয়ে সৃষ্টি করছে তরল হীরা।আমরা জানি ভূগর্ভে কার্বন প্রচন্ড তাপ ও চাপে হীরকখণ্ডে পরিনত। বহুরূপী কার্বনের আরেকরুপ হলো হীরক।তাই বলা যায় পৃথিবী থেকে ৪৩০ কোটি কিলোমিটার দূরের নেপচুন ও ২৭০ কোটি কিলোমিটার দূরের ইউরেনাসে হীরা বৃষ্টি হয়।খালি চোখে এই দুই গ্রহকে দেখা যায় না।


বিস্তারিত ভিডিওতে




Previous Post Next Post