চর্যাপদ এর অর্থ
চর্যাপদের মূল নাম চর্যাচর্যবিনিশ্চয়। চর্য অর্থ আচরণীয় অচর্য অর্থ অআচরণীয় বিনিশ্চয় অর্থ নির্ণয়। এটা
হাজার বছর আগের বোদ্ধাদের রচিত গান ও কবিতা মালা।যাতে সমাজের বাস্তবচিত্র ফুটে উঠেছে।
চর্যাপদ কোথা থেকে আবিষ্কার হয়?
ইংরেজ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন বাংলা বিভাগের প্রধান মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর উপর বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার পুরোনো পুস্তক সংগ্রহের দায়িত্ব দেন। তিনি
( প্রথম ১৮৯৭ এবং দ্বিতীয়বার ১৮৯৮ সালে) ১৯০৭ সালে তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় নেপালের রাজগ্রন্থশালা রয়েল লাইব্রেরী থেকে চর্যাপদ, ডাকার্ণব, সরোহপাদ ও কৃষ্ণপাদ নামে চারটি পুস্তক উদ্ধার করেন।
চর্যাপদ নেপালে কিভাবে এলো?
চর্যাপদ ৬৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দে লেখা।তৎকালীন
সমাজপতি ও শাসকশ্রেণী বৌদ্ধদের
উপর অত্যাচার শুরু করে। বৌদ্ধরা প্রাণ ভয়ে তাদের বই- পুস্তক নিয়ে নেপাল, তীব্বত, ও ভূটানে পালিয়ে যায়।
শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আসা কিছু প্রশ্ন
চর্যাপদ কোন ছন্দে লিখিত?
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লিখিত।
চর্যাপদে কতটি পদ রয়েছে?
ড. মো: শহীদুল্লাহ্ মতে চর্যাপদে ৫০টি যার ৪৬ টি খুঁজে পাওয়া গেছে। ড. সুনীতিকুমার এর মতে ৫১ টি।
চর্যাপদ কোন ভাষায় লিখিত?
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এর মতে চর্যাপদ সান্ধ্য ভাষায় লিখিত। ড. মো: শহীদুল্লাহ্ বলেছেন, চর্যাপদের ভাষা হচ্ছে বঙ্গকামরুপী।
চর্যাপদে কতজন কবি রয়েছে?
২৩ জন।
চর্যাপদে সবচেয়ে বেশি পদ রচনা করেছেন কে?
চর্যাপদে সবচেয়ে বেশি পদ রচনা করেছেন “ কাহুপা”
চর্যাপদে কার
পদ প্রথম রচিত হয়েছে?
চর্যাপদে লুইপার পদ প্রথম রচিত হয়েছে।
চর্যাপদে বাঙ্গালি কবি কে?
লুইপা, ভুসুকুপা ও শবরপা এই তিনজন বাঙালী কবি।
চর্যাপদে প্রচীন ও আধুনিকতম কবি কে?
চর্যাপদের প্রাচীন চর্যাকার শবরপা এবং আধুনিকতম চর্যাকার ছিলেন ভুসুকুপা।
চর্যাপদের পদগুলো টিকার মাধ্যমে প্রকাশ করেন কে?
চর্যাপদের পদগুলো
টিকার মাধ্যমে প্রকাশ করেন মুনি দত্ত
চর্যাপদ নিয়ে কে কোন পুস্তক লেখেন?
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯১৫ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে তালপাতার লেখা নামে ও তার সম্পাদনায় ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধা গান ও দোহা নামে প্রকাশিত হয়।
ড. মোহা শহিদুল্লাহ চর্যাপদের ধর্মমত বিষয়ে Budhist mystic songs নামে বই লেখেন
ড. সুকুমার সেন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নামে বই লেখেন।
সান্ধ্য ভাষা কি?
যে ভাষা সুনির্দিষ্ট রুপ পায় নি এবং যে ভাষার একাধি অর্থ বোঝায় তাকে সান্ধ্য ভাষা বলে।
চর্যাপদের তিব্বতী অনুবাদ কে করেন?
চর্যাপদের তিব্বতী অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র এবং ১৯৩৮ সালে প্রবোধ চন্দ্র তা আবিস্কার করেন।
বাংলা সহিত্যের প্রাচীন ও আদি নিদর্শন কি
উত্তরঃ চর্যাপদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন