মহাকাশের অজানা তথ্য
আজকের অজানা তথ্য- মহাকাশ বিজ্ঞান আর্টিকেলে জানব এলিয়েনদের খোঁজে।মঙ্গলন গ্রহের বাতাসের শব্দ। যে গ্রহে লোহার বৃষ্টি পড়ে।আরো জানব,আলোকে তুলে রুপান্তর, ও প্লেনের ছায়া পড়ে না কেন?চলুন তবে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক।
অজনা সব তথ্য
এলিয়েনের সন্ধানে নভোযান লুসি
বৃহস্পতি বা জুপিটার গ্রহের কাছে যেসকল গ্রহাণু ঘুরছে সেগুলোতে জীবাশ্মের সন্ধানে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তৈরি লুসিয়াস নামে একটি নভোযান পাঠিয়েছে।
মঙ্গলগ্রহ থেকে বাতাসের শব্দ
আমরা জানি সাম্প্রতি নাসা তাদের তৈরি একটি অত্যাধুনিক মহাকাশযান রোভার পারসিভেরেন্স লাল গ্রহ অর্থাৎ মঙ্গলগ্রহে পাঠিয়েছে। এই যানে অত্যাধুনিক দুটো মাইক্রোফোন যুক্ত করা আছে।সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্য হতে জানা যায় মঙ্গল গ্রহের বাতাসের শব্দ। মঙ্গলগ্রহের বায়ুমন্ডল পৃথিবীর বায়ুমন্ডল থেকে খুবই হালকা। সেখানকার সৃষ্ট ঝড় খুব ভয়ংকর। চারিদিকে ও বায়ুমন্ডলে ধূলিঝড়ের সৃষ্টি করে।
যে তাপমাত্রায় আলোকে তরল বানানো যায়
ধাতু গলিয়ে তরল হতে দেখেছেন। কিন্তু কখনো শুনেছেন আলোকেও তরলে রুপান্তর করা যায়? না আমিও জানতাম না।যে আলোকে পরমশূন্য তাপমাত্রায় নিয়ে এসে অর্থাৎ শূন্য ডিগ্রি কেলভিন এ তরলে রুপান্তর করা যায়। পাত্রে ঢালা যায়।তাহলে জেনে নেয়া যাক পরমশূন্য তাপমাত্রাটা আসলে কি?
আমরা জানি তাপের কোন উচ্চ সীমা নেই কিন্তু তাপের নিম্নসীমা রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে তাপ কমতে কমতে থেমে যায়।এটাই হলো পরমশূন্য তাপমাত্রা বা -২৭৩.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এটাকে শূন্য ডিগ্রি কেলভিন বলা হয়ে থাকে। জার্মানির ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানীরা এই তাপমাত্রার ঠিক কাছাকাছি পৌঁছেছেন।
লোহার বৃষ্টি হয় যে গ্রহে
আপনি কি জানেন Wasp-76b নামের একটি গ্রহের শুধু একদিকেই লোহার বৃষ্টি হচ্ছে। সেই তাপমাত্রা ২ হাজার ২৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস প্রায়। এই গ্রহটা পৃথিবী থেকে প্রায় ৬৪০ আলোকবর্ষ দূরে। ২০১৩ সালে wasp-76b গ্রহটা সম্পর্কে প্রথম জানা যায়।
সূর্যের মৃত্যু হলে পৃথিবীর কি হবে?
পৃথিবী থেকে প্রায় ৬৫০ হাজর আলোকবর্ষ দূরের একটি তারা মৃত্যুর সময় সে কয়েক হাজারগুন বড় হয়ে গিয়েছিল। ফলে তার ঐ কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান প্রায় সব গ্রহকে সে গ্রাস করে ফেলেছিল। ধারণা করা হচ্ছে সূর্যের মৃত্যুর সময় পৃথিবীর অবস্থার ক্ষেত্রেও এটাই ঘটবে।৫০০ কিংবা ৫৫০ কোটি বছর পরে সূর্যের যখন সমস্ত জ্বালানি ফুরিয়ে যাবে তখন সূর্য ফুলে-ফেঁপে কয়েক হাজারগুন বড় হয়ে যাবে। মৃত্যুর সময়কার চেহারাকে বলা হয় রেড জায়ান্ট।এর ফলে সূর্যের আয়তন তার কক্ষপথ ছাড়িয়ে যাবে। মঙ্গল বা বৃহস্পতি,ও শনি গ্রহ খুব জোর বেঁচে যেতে পারে। তবে পৃথিবী পুড়ে খাক হয়ে যাবে নিশ্চিত।
প্লেনের ছায়া মাটিতে পড়ে না কেন?
আমরা দৃশ্যমান সকল অবজেক্টের ছায়া পড়ে। বস্তুর ঠিক বিপরীতে। ছায়া কেন পড়ে? আলো যেসকল বস্তুকে ভেদ করে যেতে পারে না ঠিক সেই আকৃতির ঐসকল বস্তুর বিপরীতে ছায়া পড়ে।প্রশ্ন হলো আকাশে উড়ন্ত প্লেনের কেন ছায়া পড়ে না।অথচ মেঘের ছায়া ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে। সত্য এই যে প্লেনেরও ছায়া পড়ে। প্লেন যেহেতু অনেক উঁচুতে উড়ে তাই প্লেনের যে ছায়া তা মাটিতে ভূপৃষ্ঠে আসার পূর্বে সূর্যের আলোতে অদৃশ্য হয়ে যায়।আর মেঘের আকার অনেক বড় হওয়াতে মেঘের ছায় মাটিতে এসে পড়ে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন