Mbdjobs is a Bengali educational website for Students,bd jobs seeker.best jobs preparation website.

১০/১০/২০২১

তাজমহল,সৌভাগ্যবান স্বামী, বৃটিশ কর্মচারী ও পলাশীর পরে জিনিসপত্রের দাম

 সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজের ভালবাসা 

মোগল সম্রাট শাহজাহান এর সর্বমোট ৭ জন স্ত্রী ছিল।মমতাজ ছিল তার চতুর্থ স্ত্রী। মমতাজকে বিয়ের পরেও আরো তিনটা বিয়ে করে শাহজাহান। তবে এটা ঠিক মমতাজের প্রতি তার বাড়তি ভালবাসা ছিল।তবে আমার মনে হয় না প্রেম জগতে শাহজাহান -মমতাজ প্রেমিক-প্রেমিকাদের অনুপ্রেরণা হতে পারে।যদি মমতাজ তিনি এতোই ভালবাসতেন তবে আরো তিনটা বিয়ে তিনি করতেন না। 


তাজ মহল বানাতে কত খরচ হয়েছিল? 

তাজ মহল বানাতে সেই সময় ৩২ মিলিয়ন খরচ হয়েছিল যা বর্তমানে প্রায় ৫৩০০ কোটি টাকা।

শাহজাহানের ময়ূর সিংহাসন 

মোগল সম্রাট শাহজাহান যে সিংহাসনে বসতেন তার নাম ছিল ময়ূর সিংহাসন। এর দু'পাশে দুটো দামী পাথরের ময়ূর ছিল।এতে ১১৫০ কেজি স্বর্ণ ২৩০ কেজি হিরা, মণি-মুক্তা, পান্না সহ দামী পাথরে তৈরি করা হয়েছিল।


কোন স্বামী সৌভাগ্যবান?

বহুকাল ধরে অতীতে বিশেষ করে পল্লী সমাজে আজব আজব বিশ্বাস, প্রবাদ প্রচলিত ছিল। এগুলো সেই সময় গ্রামীন সাহিত্য, সংগীত, পুঁথি সাহিত্যেও প্রচলিত ছিল।  যেমন চতুর্দশ শতাব্দীর প্রাকৃত পৌঙ্গলে পাওয়া যায় 

"যে রমনী কলাপাতায় গরম ভাত, ঘি, মৌরলা মাছ, পাট শাক পরিবেশন করে স্বামীকে খাওয়াই সে স্বামী সৌভাগ্যবান।"


পলাশীর পূর্বে কৃষি পণ্যের দাম কেমন ছিল?

১৭৫১সালের দিকে ১ টাকা ৬০-৭০ কেজি চাল পাওয়া যেত।গমের দাম চা'লের দাম প্রায় সমান ছিল।ময়দা পাওয়া যেত ১ টাকায় ৪০ কেজি প্রায়।সেই সময় ১ টাকায় ৩৭ কেজি তৈল কেনা যেত।১৯৫২ ও ১৯৫৩ এ তে গিয়ে দ্রব্য মূল্যের দাম কিছুটা বেড়ে যায়। 

তবে ঐতিহাসিক পলাশীর যুদ্ধের পরে লাগামহীন ভাবে বাড়তে থাকে জিনিসের দাম।

যেমন, যেখানে পলাশীর পূর্বে এক টাকায় ৬৭ কেজি চাল পাওয়া যেত সেখানে মীর জাফর ও বৃটিশ শাসনের সময় ১ টাকায় মাত্র ২০ কেজি চাল কেনা যেত। ১৪ কেজি গমের দাম ১ টাকা হয়ে যায়।অর্থাৎ মাত্র ৮ বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয়  জিনিসপত্রের দাম  দিগুন  বা কোনটা কোনটা তিনগুণ ছাড়িয়ে যায়। সেই সময় শ্রমিক-কর্মচারী ও সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন যে খুব বেশি ছিল তা কিন্তু নয়। 


বৃটিশ আমলে সরকারি কর্মচারীদের বেতন

খানসামাদের বেতন ছিল পাঁচ টাকা।টোপদার  বা লাঠিয়ালদের বেতন ছিল। এছাড়াও রাজ বাবুর্চি, গরু বা ঘোড়া চালকদের বেতনও পাঁচ টাকা করে ছিল।

জমাদার বা পিয়ন,  খেদমতগার, বাবুর্চির সহকারী, পালকি বাহক ও পরিচালক,ধোপা,  পেত ৩ টাকা করে। জমিদারের পেয়াদারা ও মশালচি( যারা রাস্তায় লোকের পথ দেখাতো) পেত ২.৫ টাকা করে।নাপিত পেত ১.৫ টাকা করে।দাসী ও মালিরা পেত দুই টাকা করে। অনেকে আবার ৪০০-৫০০ টাকায় নিজেকে আজীবনের জন্য বিক্রি করে দিয়েছি সে সময়।