আনকমন কিছু ধাঁধা
একটা সময় পল্লীগ্রাম ও মফস্বলে, গঞ্জে ধাঁধার আসর বসতো।প্রতিযোগিতা হতো।এখন আর তেমনটা না দেখা গেলেও ধাঁধা কিন্তু অনেকের প্রিয়। কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর বিভিন্ন নাটকে ধাঁধা বলতে শোনা যায়।ধাঁধাকে ভিন্ন এলাকার মানুষ ভিন্ন নামে সম্বোধন করে।যেমন, ধাধা কে সিন্দুক বা মানে বলা হয়। তো চলুন আনকমন ও বিখ্যাত কিছু ধাঁধা জেনে নেয়।
ধাধার আসর
ক. জলে মধ্যে জন্ম নিলো দুই অক্ষরের প্রাণী
শেষের অক্ষর কেটে দিলে হয় মহারাণী
মাছ
তিন অক্ষরের নাম তার সবার ঘরে রয়
প্রথম অক্ষর কেটে দিলে খাদ্যবস্তু হয়
মাঝের অক্ষর কেটে দিলে হয় গানের শোভা
শেষের অক্ষর ছেড়ে দিলে তুমি ভয় পাবা
বিছানা
চার পায়ে বসি মোরা আট পায়ে চলি
বাঘও নয় সিংহও নয় আস্ত কাঁধে ঝুলি
পালকি
হাত দিলে বন্ধ করে সূর্যদয়ে খোলে
ঘোমটা দেয়া স্বভাব তার মুখ নাহি তোলে
লজ্জাবতী লতা
এমন কি জিনিস আছে নিজের থাকা ভালো
অন্যের কাছ থেকে পেলে মুখ হয়ে যায় কালো
লজ্জা
আট পা আঠারো হাঁটু
জাল ফেলিয়া মরা ঠেঁটু
শুকনায় ফেলিয়া জাল
গাছে উঠিয়া নিল ফাল
মাকড়শা
হাতি নয়, ঘোড়া নয়
মোটা মোটা পা
তরু নয়, লতা নয়
ফুলে ভরা গা
পালঙ্ক
খড়িতে জড়াজড়ি, ফলে অধিবাস
ফুল নাই,ফল নাই ধরে বারোমাস
পান
জ্বলে চলে না ছুঁয়ে পানি
এ আবার কোন প্রাণী?
জোনাকী
চারিদিকে কাটা বেত
মাথায় মুকুট খান সাহেব
আনারস
কোন গ্রামে রক্ত ঝরে?
সংগ্রাম