যাকাত কী?
এটা গরীবের হক। ২য় হিজরিতে যাকাত ফরজ করা হয়েছে ।সামর্থ্যবান ব্যাক্তির উপর যাকাত ফরজ করা হয়েছে। উৎপাদিত ফসল,পণ্য,পশু,অর্থ ইত্যাদি বিধি অনুসারে নির্দিষ্টহারে গরীবদের দান করাকে যাকাত বলে। এটা আল্লাহর বিধান। সামর্থ্যবান ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি বিধান অনুযায়ী যাকাত দিতো বা রাষ্ট্রের আইন মেনে অর্পিত ট্যাক্স বা ভ্যাট কর দিতো তাহলে সমাজ রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আরো বেশি উন্নয়ন হতো।
কত সম্পদ থাকলে যাকাত ফরজ হয় জেনে নিন।
যাকাত ফরজ হওয়ার শর্তাবলী
১. কোন ধরনের পশুর উপর যাকাত ফরজ হয়?
উত্তর: যে সকল পশু বছরের অধিকাংশ সময় মাঠে চরে খায়।
২. গরু কয়টি থাকলে যাকাত দিতে হয়?
উত্তর: ৩০ টি গরু থাকলে একটি ১ বছরের গরু যাকাত দেয়া ফরজ হয়।
৩. ছাগল কয়টি থাকলে যাকাত দিতে হবে?
উত্তর: ৪০ ছাগল থাকলে ১ টি ছাগল যাকাত দিতে হয়।
৪. উট কয়টি থাকলে যাকাত দিতে হয়?
উত্তর: ৫ টি উট থাকলে ১ টি ছাগল যাকাত দিতে হবে।
৫. জমি থেকে উৎপাদিত কোন ধরনের ফসলে যাকাত দিতে হবে?
উত্তর: রবিশষ্য বা দীর্ঘ মেয়াদি ফসল।অনেক দিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় এমন ফসলে যাকাত ফরজ হয়।
৬. উৎপাদিত শাক-সবজি তে কি যাকাত দিতে হয়?
উত্তর: না। শাক
৭. উৎপাদিত ফসল যদি বৃষ্টির পানিতে হয় তবে কী পরিমাণ যাকাত দিতে হয়?
উত্তর: উশর অর্থাৎ ১০ ভাগের ১ ভাগ।
৮. যদি সেচের পানিতে ফসল উৎপাদিত হয় তবে কী পরিমান যাকাত দিতে হয়?
উত্তর: ২০ ভাগের ১ ভাগ।
৯। যমীন থেকে উৎপাদিত ফসল যদি সেচের পানিতে হয়, তবে তাতে যাকাতের পরিমাণ কত?
উত্তরঃ নেছফুল উশর (তথা বিশভাগের এক ভাগ)। ১০। যাকাতের জন্য স্বর্ণের নেসাব কি?
উত্তরঃ বিশ মিছকাল তথা ৮৫ গ্রাম।
১১. যাকাতের জন্য রুপার নেসাব কি?
উত্তরঃ একশত চল্লিশ মিছকাল অর্থাৎ ৫৯৫ গ্রাম।
১২। সোনা ও রুপায় যাকাতের পরিমাণ কত?
উত্তরঃ চল্লিশ ভাগের একভাগ (আড়াই শতাংশ)
১৩. টাকায় যাকাতে পরিমাণ কত?
উত্তরঃ স্বর্ণ বা রুপা নেসাব পরিমাণ টাকা থাকলে তাতে ২.৫০% হারে যাকাত দিতে হবে।
১৪। মুসলমানদের উপর ফিৎরা আদায় করাঃ ফরয/ সুন্নাত/ কোনটাই নয়?
উত্তরঃ ফরয।
১৫। ফিৎরা কখন আদায় করা উত্তম?
উত্তরঃ ঈদের চাঁদ উঠার পর।
১৬। ফিৎরা আদায় করার শেষ সময় কখন?
উত্তরঃ ঈদের নামায শুরু হওয়ার পূর্বে।
১৭। ফিৎরার পরিমাণ কত?
উত্তরঃ এক সা পরিমাণ খাদ্য।
১৮। কয় শ্রেণীর মানুষকে যাকাত দেয়া যায়?
উত্তরঃ ৮ শ্রেণীর মানুষকে।
১৯। যাকাতের হকদার কারা?
উত্তরঃ যাকাতের হকদ্বারগণ হলোঃ
ক) ফকির
খ) মিসকীন
গ) যাকাত আদায়কারী কর্মচারী
ঘ) দাসমুক্ত করা
ঙ) ঋণগ্রস্থ
চ) আল্লাহর পথে
ছ) বিপদ গ্রস্থ মুসাফির।
২০.কোন অবস্থায় দান করা উত্তম- সুস্থ থাকাবস্থায় নাকি অসুস্থ হলে?
উত্তরঃ সুস্থ থাকাবস্থায় দান করা অতি উত্তম।
No comments:
Post a Comment