কেন তৈল পরিশোধাগারে বিস্ফোরণ হয়?
খনিজ থেকে অপরিশোধিত তৈল উত্তোলন করে তা পরিশোধন করা হয়।একে ক্রুড ওয়েল বা ক্রুড পেট্রোলিয়াম বলে।এই খনিজ পেট্রোলিয়ামে অনেক ধরনের খনিজ রাসায়নিক উপাদান থাকে।তিন ধাপে মূলত পরিশোধন করা হয়।প্রথমে পানি আলাদা করা হয়।দ্বিতীয় ধাপে সালফার আলাদা করা হয় যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তৃতীয় ধাপে ফ্রাকশনেশন করা হয়। একটি আয়রন স্টীলের ইভাপোরেটর অর্থাৎ আবদ্ধ পাত্রে প্রায় ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ প্রয়োগ করা হয়।এতে ক্রুড পেট্রোলিয়াম বাষ্প হয়ে পাশের ছয় স্থর (ট্রে) বিশিষ্ট পাত্রে চলে হয়।১ম স্থর অর্থাৎ তলানি হিসাবে পড়ে ভারি তৈল যা গ্রীজ, মোবিল,ও বিটুমিন হিসাবে পাওয়া যায়।এই স্থরে প্রায় ৫৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকে। এগুলো রাস্তা নির্মাণ ও কলকারখানায় বিভিন্ন যন্ত্রাংশে ব্যবহার হয়।
এর চেয়ে হালকা ডিজেল যা ২য় স্থরে জমে যেখানে ৩০০-৫৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ থাকে।৩য় স্থরে গিয়ে জমা হয় কেরোসিন।এখানে তাপমাত্রা থাকে ২০০ ডিগ্রি এর উপর।৪র্থ স্থরে জমা হয় ন্যাপথা নামক এক ধরনের ফুয়েল।৫ম স্থরে জমা হয় পেট্রোল আর সবচেয়ে হালকা বিউটেন গ্যাস উপরের ৬ষ্ঠ স্থরে চলে যায়।আর এই বিউটেন গ্যাস রান্নার জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার হয়।
তো আমরা বুঝতে পারলাম এই প্রক্রিয়াগুলো খুবই বিপদজনক। স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।আর এসকল ইভাপোরেটর, ধাতব পাত্র, পাইপ লাইন নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ না করলে এমন দূর্ঘটনা হওয়াটা স্বাভাবিক। আসলে দূর্ঘটনায় মারা যায় অসহায়, গরিব শ্রমিক-কর্মচারী। যাদের প্রাণের মূল্য কম।এখানেই সমস্যা।
গত ২৫ এপ্রিলের খবর নাইজেরিয়ার অবৈধ তৈল শোধানাগারে বিস্ফোরণ মৃত ১১০
©আব্দুর রহমান শিপুল
0 Comments:
Post a Comment