হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কি ইংরেজদের দালাল ছিলেন?
ইংরেজদের সাথে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পর্ক
এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত ও প্রচুর মেধাবী। নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে পাওয়া চর্যাপদ তার ঐতিহাসিক আবিষ্কার।ছাত্রাবস্থায় হরপ্রসাদ বৃত্তি পেতেন। আট থেকে ক্রমে বাড়তে বাড়তে পঁচিশ টাকায় গিয়ে পৌছায়।অবশেষে তার মেধা তাকে বৃটিশদের নজরে আনে।
।আমরা হরপ্রসাদ শাস্ত্রী সম্পর্কে কিছু অজানা কথা জানবো
মানুষের ভালো ও মন্দ দুটো দিক আছে। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর কিছু মন্দ দিক তুলে ধরবো। বলতে পারেন কি দরকার? আমিও তা মনে করি।তবে সত্য ইতিহাস জানার দরকার আছে।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী সম্পর্কে অজনা কিছু তথ্য
শৈশবে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর নাম ছিল শরৎনাথ ভট্টাচার্য। পরে তিনি হয়েছিলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। ইংরেজদের থেকে পেয়েছিলেন মহামহোপাধ্যায় উপাধি। ইংরেজদের থেকে তার বাবা রামকমল দাদা নন্দকুমার, মাতামহ রামমাণিক্য ও শ্বশুর কৃষ্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যথাক্রমে ন্যায়রত্ন, ন্যায়চুঞ্চু, বিদ্যালঙ্কার ও রায়বাহাদুর উপাধি পেয়েছিলেন।
প্রথমে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ট্রান্সলেশন মাস্টার হিসাবে চাকরি পায়।এরপর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পরে চেয়ারম্যান হউন।১৮৮৪ তে অনারীর ম্যাজিষ্ট্রেট হউন।
বৃটিশদের সহযোগী স্যার রাজেন্দ্রলালের মৃত্যুর পরে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এশিয়াটিক সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সর্বশেষ ফেলো নির্বাচিত হউন।অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার ডাক পরে।কিন্তু ঐ সময় হিন্দুদের সমুদ্রযাত্রা করা ছিল মাহপাপ।তাই হরপ্রসাদ শাস্ত্রী সন্ন্যাসী হতে চেয়ে ছিলেন যাতে ধর্মীয় বাঁধা না থাকে।পরে অবশ্য যাওয়া হয়নি তার।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী যেভাবে ইংরেজদের দালালী করেছেন
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধের লেশমাত্র নাই,জমিদারের অত্যাচার নাই, কুসংস্কারাচ্ছন্ন পুরোহিত নাই,স্বাধীন চিন্তার ব্যাঘাত দেয় এমন কিছু নাই-------
(হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচনা সমগ্র, ২য় খন্ড, পৃ-৫১০)
তিনি আরো বলেন, ইংরেজ রাজত্বে বাঙালী নির্বিবাদে দেশ সমাজ ও সাহিত্যের উন্নতি সাধন করতে পারে।
(হরপ্রসাদ শাস্ত্রী সাহিত্যকর্ম,অধ্যাপিকা শিপ্রা রক্ষিত দস্তিদার, পৃ ২৭৩)
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ছিলেন বিধবা বিবাহের ঘোর বিরোধী। এক ভাষনে হরপ্রসাদ বিদেশি শাসকদের প্রশংসা করেন।
Leave a Comment