Mbdjobs is a Bengali educational website for Students,bd jobs seeker.best jobs preparation website.

৩০/০৮/২০২২

গ্রহগুলোর কি নিজস্ব আলো আছে?

 প্লানেট বা গ্রহগুলোর  কি নিজস্ব আলো আছে?

আমরা ছোটকাল থেকে পড়ে আসছি চাঁদের নিজস্ব আলো নেই।চাঁদ সূর্য থেকে আগত আলো শোষণ করে তা রিফ্লেক্ট করে। আসলে কি চাঁদের নিজস্ব আলো নেই? চাঁদের নিজস্ব আলো নেই কেন?

আমরা এটাও জানি প্লানেট বা গ্রহগুলোর নিজস্ব আলো নেই।  পৃথিবী একটি গ্রহ। প্রশ্ন হচ্ছে পৃথিবীর কি নিজস্ব আলো আছে? তারারা আলো কোথা থেকে পায়? সূর্য কি একটি তারা? জুপিটার গ্রহ নাকি তারা?

এসব প্রশ্নের উত্তর জানবো আজ


প্রথমে আসি 

পৃথিবীর নিজস্ব আলো আছে কিনা?

যদি পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রে বলি তাহলে বলতে হয় পৃথিবীর নিজস্ব আলো আছে। শুধু পৃথিবী নয় বা শুধু তারা নয় সব গ্রহের নিজস্ব আলো আছে?  কিভাবে পৃথিবীর নিজস্ব আলো আছে?  উত্তর হলো পৃথিবী গঠিত এটম দিয়ে অর্থাৎ পরমাণু দিয়ে। পরমাণুতে ইলেকট্রনগুলো উপর-নিচ লাফালাফি করতে থাকে এতে  শূন্য ডিগ্রি কেলভিন তাপমাত্রায় ইলেকট্রোম্যাগনেটিং রেডিয়েশন নির্গত হয়। এবং দীর্ঘ আলোক তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সৃষ্টি হয়। কিন্তু তা এতো ক্ষীণ যে  মানুষের চোখ পৃথিবীর নির্গত নিজস্ব আলো দেখতে পায় না। এখন প্রশ্ন হতে পারে পৃথিবীর নিজস্ব আলো এতো ক্ষীণ তাহলে মহাকাশ হতে পৃথিবীকে দেখা যায় কিভাবে? মহাকাশ হতে পৃথিবীকে দেখা যায় সূর্যের আলোর কারণে।সূর্যের আলো পৃথিবীর যে অংশে পড়ে ও আলো রিফ্লেক্ট হয় মহাকাশ হতে পৃথিবী সেই অংশটুকু  দেখা যায়। 


চাঁদের কি নিজস্ব আলো আছে? 

আমরা জেনে আসছি চাঁদের নিজস্ব আলো নেই।কিন্তু সত্য হলো চাঁদের নিজস্ব আলো আছে।  পৃথিবীর নিজস্ব আলোর মতই ক্ষীণ আলো নির্গত করে।যা আমরা দেখতে পায় না।কেন তা আমরা উপরের অংশে আলোচনা করেছি। 

তো চাঁদের নিজস্ব আলো দেখা না গেলে চাঁদ এতোটা উজ্জ্বল হয় কিভাবে? 

চাঁদ সূর্য থেকে আগত আলো শোষনের মাধ্যমে আবার তা নির্গত করে তাই চাঁদ আলোকিত। 


পৃথিবীর মত চাঁদে দিন রাত কত দিনে হয়?

বা আমরা চাঁদের রাতের অংশ দেখতে পায় না কেন?

পৃথিবী ও চাঁদ মুখোমুখি হয়ে সৌরজগতে তার নিজস্ব অরবিটে ঘুরছে। তাই আমরা সূর্যের একপাশ দেখতে পায় ভিন্ন পাশ দেখতে পায় না। পৃথিবী তার নিজ অক্ষে একবার ঘূর্ণন করতে ১ দিন সময় নেই।কিন্তু চাঁদ এ কাজটি করতে ২৮ দিন সময় নেই। তাই চাঁদের এক অংশ ১৪ দিন রাত আর বিপরীত অংশে ১৪ দিন সানলাইট থাকে।


এখন আমরা জানবো তারারা এত উজ্জ্বল কেন?

তারাদের দেশে বেশি মাত্রায় গরম ও  দাহ্য গ্যাসীয় পদার্থ থাকে।যেমন হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম। হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম ব্রাইটেস্ট মৌল। হাইড্রোজেন পুড়ে হিলিয়ামে পরিণত হওয়ার সময় তাপ ও উজ্জ্বল আলো নির্গত  হয়।

যে তারায় যতবেশি ভর, ও হাইড্রোজেন অর্থাৎ ফুয়েল আছে সে তারা ততো বেশি উজ্জ্বল দেখায়। সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল তারার নাম সাইরাস বা লুব্ধক তারা।

এখন আসি জুপিটার কি তারা? না জুপিটার তারা নয়। গ্রহ।তবে তারা হওয়ার চেষ্টায় ছিল।কিন্তু কম ভর ও ফুয়েল অর্থাৎ তারাদের থেকে কম হাইড্রোজেন থাকায় জুপিটার কম আলো নির্গত করে।তাই জুপিটারকে একটি গ্রহ বলা চলে।

চাঁদ থেকে পৃথিবীর ছবি