পাকোসন (১৮৬২)
আলেকজাণ্ডার পার্কস
সেলুলোজ হল উদ্ভিদের দেহ কোষের একটি উপাদান। তুলো, পাট,বাঁশ, কাঠ প্রভৃতির আঁশ থেকে এই সেলুলোজকে পাওয়া যায়। এই সেলুলোজ
নিয়ে বিজ্ঞানীরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন।
বার্মিংহামের অধিবাসী রসায়ন বিজ্ঞানী আলেকজাণ্ডার পার্কস-এর গবেষণার বিষয় ছিল এই সেলুলোজ। ১৮৬২ সাল। একদিন তিনি সেলুলোজের সাথে নাইট্রিক অ্যাসিড মিশিয়ে ফেললেন। বিক্রিয়ায় উৎপন্ন
পদার্থটিকে পরীক্ষা করতে গিয়ে তিনি দেখলেন পদার্থটি দাহ্য এবং বিস্ফোরকও। নতুন উৎপন্ন এই পদার্থটির নাম দিলেন নাইট্রোসেলুলোজ। এই নাইট্রো সেলুলোজ তৈরী করতে গিয়ে একদিন তিনি দেখলেন
সেলুলোজের সাথে নাইট্রিক অ্যাসিড বেশী পরিমাণে মেশালে তবেই পাওয়া
যায় নাইট্রো সেলুলোজ। কিন্তু নাইট্রিক অ্যাসিড যদি অল্প পরিমাণে মেশানো যায় তবে পাওয়া যায় অন্য একটি পদার্থ, যেটি বিস্ফোরকও নয়, দাহ্যও
নয়। এই নতুন পদার্থটি শক্ত অথচ দাহ্য না হওয়ায় তিনি পদার্থটিকে ব্যবসায়িক কাজে লাগাবার কথা ভাবলেন। পদার্থটি দিয়ে তৈরী করলেন বোতাম, কলম দানি, কলম, মেডেল প্রভৃতি। তাঁর নামানুসারে পদার্থটির
নাম দেওয়া হল পার্কেসিন। একটি প্রদর্শনীও করেন তিনি, ফলে পার্কেসিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্লাস্টিক তৈরীর আগে এই পার্কেসিনই মানুষের চাহিদা মেটাতো।
No comments:
Post a Comment