অতীতে চাকরিজীবিদের বেতন 

গত দশকে বলা হতো সরকারি চাকরি মানে সোনার হরিণ। আর বর্তমানে সরকারি চাকরি মানে সোনার হাতি। কারণ, সরকারি চাকরিতে সম্মান অর্থ ও চাকরির নিশ্চয়তা এবং পেনশন সবই মেলে।বর্তমানে কোন কর্মকর্তা  কোন  গ্রডের  বেতন পায় বা তাদের মাসিক বেতন কত তা আমরা জানি।আজকে জানবো বৃটিশ আমলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কেমন ছিল।আমরা জানবো পাকিস্তান আমলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কেমন ছিল।ষাট কিংবা সত্তর দশকে বেতন কেমন ছিল? 

বিস্তারিত ভিডিওতে



বিভিন্ন শাসনামলে শ্রমের মজুরি যেমন ছিল

বৃটিশ আমলে সরকারি চাকরিতে বেতন 

খানসামাদের বেতন ছিল পাঁচ টাকা।টোপদার  বা লাঠিয়ালদের বেতন ছিল। এছাড়াও রাজ বাবুর্চি, গরু বা ঘোড়া চালকদের বেতনও পাঁচ টাকা করে ছিল।

জমাদার বা পিয়ন,  খেদমতগার, বাবুর্চির সহকারী, পালকি বাহক ও পরিচালক,ধোপা,  পেত ৩ টাকা করে। জমিদারের পেয়াদারা ও মশালচি( যারা রাস্তায় লোকের পথ দেখাতো) পেত ২.৫ টাকা করে।নাপিত পেত ১.৫ টাকা করে।দাসী ও মালিরা পেত দুই টাকা করে। অনেকে আবার ৪০০-৫০০ টাকায় নিজেকে আজীবনের জন্য বিক্রি করে দিয়েছি সে সময়।

১৯২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য  স্যার ফিলিপস অন্যান্য সুবিধাসহ মাসিক চার হাজার টাকা বেতনে চাকরিতে যোগ দেন। 

ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ইংরেজ আমলে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকার চাকরি করেছেন।

 পাকিস্তান আমলে সরকারি চাকরিজীবিদের বেতন কেমন ছিল?

 পাকিস্থান আমলে একজন উপসহকারী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীদের বেতন ছিল ৪০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে।পাকিস্তান আমলে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের বেতন ছিল  ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। গাড়ি চালকদের বেতন ছিল ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। ব্যাংকের মধ্যম সারির কর্মকর্তাদের  বেতন ছিল ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে

১৯৫২ সালের দিকে একজন বিএ পাশ শিক্ষকের বেতন ছিল ১২৫ টাকা

শ্রমিকদের শ্রমের মজুরি ছিল দিন প্রতি ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকার মধ্যে।

তো উপরিউক্ত তথ্য  থেকে ধারণা করা যায় পাকিস্তান পিরিয়ডে চাকরিজীবিদের বেতন কেমন ছিল। 


চলুন এবার জেনে নেয়া যাক

   ৭০ ও ৮০ এর দশকে বেতন কেমন ছিল।


৭০ এর দশকে একজন কলেজ শিক্ষকের বেতন ছিল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।১৯৮৫ সালের দিকে শুরুতে বিসিএস ক্যাডারদের বেসিক বেতন ছিন ১৬৫০ টাকা।

তো এখান থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায় সেসময় সরকারি চাকরিতে বেতন কেমন ছিল। 



Previous Post Next Post