বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের পরিচিতি
প্রাকৃতিক গ্যাস
ভূপৃষ্ঠ হতে ভিন্ন গভীরতায় সঞ্চিত পেট্রোলিয়াম বা খনিজ তেল এর উপরিভাগে বা অন্যকোথায় উচ্চচাপে যে হাইড্রোকার্বন জাতীয় গ্যাসীয় পদার্থ সঞ্চিত থাকে তাকে প্রাকৃতিক গ্যাস বলে।
আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে প্রাকৃতিক গ্যাস আবিষ্কার হয়।তবে শোনা যায় চীনারা প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাস আবিষ্কার করে।চীনারা গ্যাসের আগুন জ্বালিয়ে লবন তৈরি করতো।
শুষ্ক গ্যাস
সাধারণত পেট্রোলিয়াম বা খনিজ থাকে না এমন খনি হতে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসকে ড্রাই গ্যাস বা শুষ্ক গ্যাস বলে।বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস অনেক বেশি বিশুদ্ধ। তাতে সালফার প্রায় অনুপস্থিত। এবং ৯৫% হতে ৯৯% মিথেন।
কোল গ্যাস
সাধারণত কোল বা কয়লাকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ধূম পাতন করলে কোল গ্যাস পাওয়া যায়। কোল গ্যাস হাইড্রোজেন,মিথেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, ইথিলিন, এসিটিলিন,বেনজিন বাষ্প, অক্সিজেন মিশ্রিত বায়বীয় ও উদ্বায়ী পদার্থকে কোল গ্যাস বলে।
প্রডিউসার গ্যাস
লোহিত তপ্ত কোক কার্বনের উপর দিয়ে ১১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বায়ু প্রবেশ করালে CO এবং N2 এর যে গ্যাসীয় মিশ্রণ উৎপন্ন হয় তাকে প্রডিউসার গ্যাস বলে।
ওয়াটার গ্যাস
সম মোল বা আয়তনের CO ও H2 এর মিশ্রণকে ওয়াটার গ্যাস বা জলীয় গ্যাস বলে। CO+H2 ওয়াটার গ্যাস এর সংকেত।
ব্লু গ্যাস
ওয়াটার গ্যাসের H2 গ্যাস নীল শিখাসহ জ্বলে উঠে তাই ওয়াটার গ্যাসকে ব্লু গ্যাস বলে।
সংশ্লেষ গ্যাস (Synthetic Gas)
সংশ্লেষ গ্যাস হলো এক মোল CO গ্যাস ও তিন মোলার H2 গ্যাসের মিশ্রণ।
টক গ্যাস
কোন প্রাকৃতিক গ্যাসে H2S এর পরিমাণ ৫.৭ mg/m3 এর বেশি থাকলে তাকে টক গ্যাস বা Sour গ্যাস বলে।
মিষ্টি গ্যাস
কোন প্রাকৃতিক গ্যাসে H2S এর পরিমাণ ৫.৭ mg/m3 এর কম থাকলে তাকে মিষ্টি গ্যাস বা Sweet Gas বলে।
আর্দ্র প্রাকৃতিক গ্যাস
যে সকল গ্যাস খনিজ পেট্রোলিয়াম এ পাওয়া যায় তাদেরকে আর্দ্র প্রাকৃতিক গ্যাস বলে।
আদর্শ গ্যাস
যে সকল গ্যাস সকল তাপমাত্রা ও চাপে গ্যাসের আদর্শ সূত্র মেনে চলে তাকে আদর্শ গ্যাস বলে।পরম তাপমাত্রা ও চাপে আদর্শ গ্যাসে আয়তন ২২.৪ লি.। আদর্শ গ্যাসের সূত্র PV= nRT
0 Comments:
Post a Comment