কাকমারী গাছ কেন বিষাক্ত 


আসাম, ত্রিপুরা, পূর্ব ও পশ্চিম বাংলা, কঙ্কন, গোয়া ইত্যাদি অঞ্চলে বিস্তৃত এ গাছটি পরাশ্রয়ী গুল্ম রূপে জঙ্গলে বিশেষ ভাবে জন্মে । পাতাগুলি বেশ বড়, দৈর্ঘ্যে সর্বাধিক ১৩ সে.মি. এবং প্রস্থে ৫ সে.মি. প্রসারিত ডিম্বাকার । অগ্রভাগ সূচাগ্র, শিরাবিন্যাস একশিরাল জালিকাকার , পাতার উপরিতল গাঢ় সবুজ, নিম্নতল সাদাটে রোমাবৃত, পত্রবৃন্ত স্ফীত। পূর্ণ শাখার বৃত্তে ১৫-২৫ সে.মি. দীর্ঘ পুষ্পবিন্যাস গুলি ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে । ফুলগুলি বেশ ছোট । ফল দুটি করে দুটি বৃত্তে অবস্থিত, কালো বর্ণের । কাকমারী গাছের  বৈজ্ঞানিক নাম এনামিরটা কুকুলাস (Anamirta cuculus) গোত্র মেনীস্পার্মেসী।কাকমারী গাছের ফল তীব্র বিষাক্ত।  বিভিন্ন উপজাতিরা তীরের ফলার অগ্রভাগে এ ফলের রস মাখিয়ে দেয় এবং তীরের ফলার মাধ্যমে রক্তে এ রস মিশে বিষক্রিয়া দেখা দেয় ।


বিষাক্ত রাসায়নিক

পিক্রোটক্সিন নামক এক প্রকার নন এলকালয়েড যৌগ বীজে বর্তমান । বীজে ১.৫ শতাংশ পিক্রোটক্সিন থাকে। এছাড়া পিক্রোটিন, এনামিরটিন নামক রাসায়নিক যৌগগুলি পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয় । দুটি অ্যালকালয়েড ম্যানিস্পার্মিন এবং প্যারাম্যানিস্পার্মিন ফল থেকে পাওয়া গেছে কিন্তু তারা বিশেষ বিষাক্ত নয় ।

নবীনতর পূর্বতন