স্বামী স্ত্রীর ভালাবাসা ও শিশুর মানসিক বিকাশ

পরিবারের ছবি


একটি ছেলে ও একটি মেয়ের মধ্যকার সামাজিক রীতিতে বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরি হয় সারাজীবন একসাথে কাটানের জন্য।অনেকে তা পারে না আবার পারলেও সংসারে অশান্তি যায় না।দিন দিন ডিভোর্স এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এটা সমাজ অবক্ষয়ের অন্যতম উদাহরণ। বিয়েটা কোন ছেলে খেলা নয় যে দিন শেষে খেলা ভেঙে দিতে হবে।যদি স্বামীকে পছন্দ না হয় কিংবা স্ত্রীকে পছন্দ না তবে বিয়ে কেন করলেন? আপনাকে কেন পরাকীয়া করতে হবে? আপনি কি আপনার ছেলে-মেয়ের মুখের দিকে কখনো তাকিয়ে দেখেছেন?  কখনো ভেবেছেন আপনার বাবা-মা যখন ঝগড়া করতো তখন আপনার মনের অবস্থা কেমন হতো? আপনার মা অথবা বাবা আলাদা হয়ে যদি অন্যত্র বিয়ে করতো তাহলে আপনার কি হতো।সংসারে অভাব - অনটন থাকবেই।  বউকে পিটিয়ে কি অভাব দূর করা যায়।কিংবা অভাবী স্বামীর কাছে সামর্থ্যের বাইরে এমন কিছু আবদার করেন কোন যুক্তিতে? তিন কবুলে বিয়ে আবার তিন তালাকে সংসার শেষ করে দেন।বিয়ে আর তালাক যদি আপনাদের কাছে এতোটা সহজ হয়ে থাকে তবে বিয়ে না করে লিভ টুগেদার করলেইতো পারেন।কখনো সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখেছেন? কখনো ভেবেছেন কেন সন্তান জন্ম দিলেন? তারজন্য কি করলেন? কি রেখে গেলেন? শিশুদের  মানসিক বিকাশের অন্যতম অন্তরায় হলো স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, পরাকীয়া, তালাক ও সন্তানকে সময় না দেয়া।এগুলো অন্যায়। পাঁচ মিনিটের যৌন মিলনে যে সন্তান পয়দা করলেন তার সঠিক বিকাশ না হলে ও সুন্দর ভবিষ্যতের ব্যবস্থা করতে না পারলে অবশ্যই আপনি মহাপাপী।

নাটক সিনেমার রঙ্গিন জীবন দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। আপনি আপনার স্ত্রীর দিকে তাকান।আপনি আপনার স্বামীর দিকে তাকান।পছন্দের অনেক কিছু খুঁজে পাবেন।হয় চোখ না হয় ঠোট,হাসি,নাক অথবা অন্য কিছু আপনাকে আকৃষ্ট করবেই।দয়াকরে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সংসার টিকিয়ে রাখুন।সংসারে শান্তি আনুন।

Previous Post Next Post