খনিজ লবণ কী?

প্রকৃতিতে বিভিন্ন ধরনের লবন যৌগিক অবস্থায় পাওয়া যায় যেমন সোডিয়াম জাতীয় লবন সোডিয়াম কার্বনেট, সোডিয়াম সালফেট, সোডিয়াম ব্রোমাইড ইত্যাদি।

 সরাসরি খাদ্য লবনের সংকেত হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড যা সমুদ্রের পানি  থেকে পাওয়া যায়।খাদ্য লবনে ৪০% সোডিয়াম ও ৬০% ক্লোরাইড থাকে।


সোডিয়াম ক্লোরাইড ব্যতিত অন্যান্য খনিজ লবন মানুষ শাক-সবজি, ফল-মূল  ও বিশেষ প্রয়োজনে পথ্য (ঔষধ) থেকে গ্রহণ করে।

মানব শরীরের জন্য উপকারী কিছু খনিজ লবণ যা মানুষ খবার থেকে গ্রহণ করে

আয়োডিন, আয়রন, জিংক,  ক্যালসিয়াম,  সোডিয়াম,  পটাশিয়াম ও ফসফরাস। 

খনিজ লবণের নাম ও অভাবজনিত সমস্যা 

আয়োডিন এর অভাবে গলগন্ড রোগ হয় আয়রনের অভাবে রক্তশূন্যতা দেখা দেয় জিংকের অভাবে বন্ধ্যাত্ব ও বৃদ্ধিহীনতা দেখা দেয়। ক্যালসিয়ামের অভাবে শিশুর রিকেটস রোগ হয়। সোডিয়াম এর অভাবে হৃদ রোগ দেখা দেয় পটাশিয়ামের অভাবে বেশি দুর্বলতা দেখা দেয় ফাসফরাসের অভাবে হাড় ক্ষয় হয়। ম্যাগনেশিয়াম এর অভাবে ক্ষুধামন্দা ও শরীর দূর্বল হয়ে যায়।

আয়োডিন সমৃদ্ধ  খাবার: চিংড়ি, ডিম, দুধ,টুনা মাছ, ইত্যাদি। 

সোডিয়াম সমৃদ্ধ  খাবার : আপেল, পেয়ারা, অ্যাভোকাডো, পেঁপে, আম, আনারস, কলা, তরমুজ এবং নাশপাতি

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ  খাবার:  মটরশুঁটি, মসুর,দুধ, দই, পনির।

জিংক  সমৃদ্ধ খাবার: মাছ, মাংশ, ডিম,দুধ

পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার : শিম,মিষ্টি আলু, কলা,পালংশাক ইত্যাদি। 

ফসফরাস সমৃদ্ধ খাবার :  দুধ,দুগ্ধ জাতীয় খাবার,মসুর, শিম, বাদাম, চিকেন

ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: বাদাম,পালংশাক,মিষ্টি কুমড়ার বীজ ইত্যাদি। 

Previous Post Next Post