নবশাখ সম্প্রদায় 

বঙ্গীয় সমাজে ব্রাহ্মণ, বৈদ্য ও কায়স্থ এই তিন বর্ণের পরে যাদের স্থান  যাদের জল আচরণীয়, যাদের আচার-ব্যবহার অনেকাংশে কায়স্থাদি উচ্চবর্ণের অনুরূপ, তারা  নবশাখ নামে পরিচিত, কারণ তারা ৯টি শাখাভুক্ত। পরাশয় সংহিতায় আছে, পরশুরাম এই ৯টি জাতির সাহায্য নিয়ে ক্ষত্রিয়কুল ধ্বংস করেন, এজন্য এদের নবশাখা বা নব শায়ক (বাণ) বলা হয়। নবশাখদের তালিকা। এই তালিকাসূচক নিয়ে একটি সংস্কৃত শ্লোক আছে 

'গোপো মালী তথা তৈলী তন্ত্রী মোদকঃ বারুজী।

কুলাল: কর্ম্মকারশ্চ নাপিতো নবশায়কাঃ।।


 অর্থাৎ গোপ (সদগোপ), মালাকর ( তিলী বা তৈলিক) (কলু নহে), তন্তুবায় (তাঁতি), মোদক (ময়রা, কুরি), বারুজীবী, কুম্ভকার, কর্মকার (কামার), নাপিত (ক্ষৌরকার নাপিত ও মধুনাপিত অর্থাৎ ময়রা) এই নয়টি জাতি সমাজে সৎশূদ্র হিসাবে পরিগণিত। এরা  ব্যতীত বণিকদের  মধ্যে গন্ধবণিক, শঙ্খবণিক (শাঁখারি), কাংস্য বণিক (কাঁসারি), এই তিন সম্প্রদায়ও নবশাখের মর্যাদা তুল্য। বণিকদের মধ্যে সুবর্ণ বণিকগণ মাত্র রাজকোপে পতিত হইয়া সমাজে পতিত হইয়াছিলেন, নতুবা সুবর্ণ অপেক্ষা কাংসের মূল্য অধিক হতো না। যশোহরের উত্তরাংশ বণিক অর্থাৎ গন্ধবণিকগণের প্রধান স্থান ছিল। বারবাজারের নিকটবর্তী সাঁকোর বণিকদিগের সম্পদ ও প্রতিপত্তির কথা কবিকঙ্কণের চণ্ডীকাব্যে উল্লেখিত হইয়াছে। যে বণিকদিগের বাণিজ্য-তরণী ভারতের বাহিরে।


কৈবর্ত জাতি ।। বঙ্গীয় হিন্দু সমাজের এক প্রধান অঙ্গ কৈবর্রতদের  মধ্যে দুই সম্প্রদায় আছে : হালিক বা চাষী এবং জালিক বা নৌজীবী। তন্মধ্যে নবশাখের পরেই চাষী কৈবর্তের স্থান 

Previous Post Next Post