ঠাকুর  দীঘি

খান-ই-জাহানের মাজারের দক্ষিণে বিশাল জলাশয়কে বলা হয় ঠাকুর দীঘি বা খাঞ্জালি দীঘি। প্রায় ২০০ বিঘা জমির ওপর এই দীঘি। দীঘিটির এরকম নাম হওয়ার কারণ দীঘি খননের সময় মাটির নিচে একটি কালোপাথরের বুদ্ধমূর্তি পাওয়া যায়। লোকে সে জন্য ঠাকুরদীঘি নাম দেয় পুকুরটির। মূর্তিটিকে দীর্ঘকাল শিবঠাকুর বিবেচনা করে পূজাও করা হয়েছে। বাগেরহাটের চারমাইল দূরে শিববাটি গ্রামে রাখা হয়। জনশ্রুতি, পুকুর খননের সময় বিগ্রহ উদ্ধার করা হয় এবং খান-ই-জাহান মূর্তিটি মহেশচন্দ্র ব্রহ্মচারীকে দান করেছিলেন। এই মূর্তি বর্তমানে ঢাকার কমলাপুর বৌদ্ধ বিহারে আছে। দীঘিতে একসময় কুমির ছিল। দীঘির পাড়ে চৈত্র মাসে খাঞ্জালির মেলা হয়।

তথ্যসূত্র: (যশোহর-খুলনার ইতিহাস, কমল চৌধুরী) 

Previous Post Next Post