রাজা রামমোহন 

রামমোহনের যখন মাত্র ৮ বা ৯  বছর বয়স তখন তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হয়। সে স্ত্রীর নাম জানা যায় না। এই স্ত্রীর মৃত্যুর এক বছরের মধ্যে রামমোহনের দ্বিতীয়বার বিবাহ হয় বর্ধমান জেলার কুরমুন গ্রামের শ্রীমতী দেবীর (মৃত্যু ১৮২৪) সঙ্গে। এই স্ত্রী জীবিত থাকতে তিনি  ভবানীপুরের " মদনমোহন চট্টোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা ভগ্নী উমা দেবীকে  বিয়ে করেন ।তৃতীয় পক্ষের কোনো সন্তানাদি হয় নি । দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে রামমোহনের দুই পুত্র  সন্তান জন্ম নেয় রাধাপ্রসাদ (১৮০০ সালে) ও রমাপ্রসাদ (১৮০২ সালে)।রাধা প্রসাদ ছিলেন কলকাতা কোর্টের প্রথম বিচারক।তারা সকলে বংশপরম্পরায় মোগলদের কর্মচারী ছিলেন।

রাজা রামমোহনের দাদা ও বাবা (রামা কান্ত)  মোগল সম্রাটদের রাজকর্মচারী ছিলেন।৯ বছর বয়সে রামমোহনকে পাটনার একটি মাদরাসায় পাঠানো হয় আরবি ও ফার্সি শেখানোর জন্য।বাল্যাকালে রামমোহন এক মৌলভীর নিকট আরবী শিখেছেন।১৪ বছর বয়সে সংস্কৃত শেখানোর জন্য রামমোহনকে বানারসিতে পাঠানো হয়।ভারতের ১৮ তম মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর শাহ তাকে  রাজা উপাধি দেয়।  সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করতে রাজা রামমোহন রায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন